আবীর ইসলাম, বোলপুর : বোলপুরে (Bolpur) দলীয় কর্মিসভা থেকে বিজেপিকে একহাত তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ (Chandranath Sinha)। "আমরা নাকি চোর, ওরা বড় বড় ডাকাত।" এই ভাষাতেই আক্রমণ করেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তিনি বলেন, "আমাদের পিছনে সিবিআই, ইডি লাগিয়ে দেয়। আমরা নাকি চোর, ওরা বড় বড় ডাকাত। ওখানে দিল্লির বুকে বসে আছে । কোটি কোটি টাকা চুরি করছে। তাই, আপনাদেরও সাবধান থাকতে হবে। তারা এখনও চেষ্টা করছে ধর্মের জিগির তুলে আমার-আপনার সঙ্গে লড়াই লাগিয়ে ভোট নেওয়ার।"


কী বলছে বিজেপি ?


পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। বীরভূমের বিজেপি নেতা কাঞ্চন ঘোষ বলেন, "ওসব নাটকবাজি করে জনসাধারণে মন জয় করা যাবে না। জনসাধারণ বুঝে নিয়েছে, এই সরকার পুরো চোরের সরকার। মন্ত্রী মহাশয় নিজের স্বীকার করেছেন আমরা চোর, কিন্তু যাঁরা আসছেন তাঁরা ডাকাত। বিজেপির কথা বাদ দিন। বিজেপি তো এখানে এখনও ক্ষমতাতেই আসেনি। ক্ষমতায় না এলে আমরা চোর না ডাকাত কী করে বিচার করবে। ক্ষমতায় যে শাসকদল আছে তারা নিজেরাই স্বীকার করছে তারা চোর।"


সম্প্রতি গরু পাচার ও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। কিন্তু, গরু পাচার মামলায় ৬ বার ও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই দফতরে হাজিরার দিনই গত ৬ এপ্রিল অনুব্রত মণ্ডল ভর্তি হয়েছিলেন SSKM হাসপাতালে। ১৬ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি চলে যান তাঁর চিনার পার্কের বাড়িতে। ২১ মে পর্যন্ত সিবিআইয়ের কাছে সময় চেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তার আগেই, দিন তিনেক আগে ফের হাসপাতালে যান বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। তবে কয়েকটি পরীক্ষার পর তাঁকে অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গরু পাচারকাণ্ডের তদন্ত করছে CBI’র অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চ!! আর ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলার তদন্ত করেছে CBI’র স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ!!