এরশাদ আলম, দুবরাজপুর : বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুর শহরের (Dubrajpur Town) মধ্যে দিয়ে যাওয়া ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক বেহাল। সংস্কার ও বাইপাসের দাবিতে পথে নামল রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের সবেতেই রাজনীতি বলে পাল্টা অভিযোগ বিজেপির।


পিচের আস্তরণ উঠে বেরিয়ে এসেছে কঙ্কালসার চেহারা। রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে স্টোন চিপস। এমনই ছবি বীরভূমের দুবরাজপুর শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, প্রায়দিনই এ পথে ঘটে চলেছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। 


এবার সংস্কার ও বাইপাস তৈরির দাবিতে পথে নামল দুবরাজপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, এক বছর ধরে জাতীয় সড়ক সংস্কার ও যানজট এড়াতে বাইপাস নির্মাণের দাবি জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। 


বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। শতাব্দী রায়ও বলেছেন সংসদে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। বিজেপি বিধায়ক এই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছেন, তাও লজ্জা নেই।


পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি অনুমোদন দিয়েছেন। দ্রুত কাজ শুরু হবে। তৃণমূলের সবেতেই রাজনীতি।


রাজনীতি চলছেই। এসবের মধ্যেই নিত্যযাত্রীদের দাবি, বেহাল জাতীয় সড়কের হাল ফিরুক দ্রুত। 


এদিকে এক দশক কেটে গিয়েছে, কিন্তু সেতু (Bridge) হয়নি বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরাক্ষী নদীর উপর সেতু। একটা সেতু তৈরিতে এতদিন কেন লাগবে ? এই প্রশ্ন তুলেছে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। গোটা ঘটনায় শাসক দলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। 


শিলান্যাস বাম আমলে:
ময়ূরেশ্বরের আমড়া এবং লাভপুরের গুনুটিয়ার মাঝে বইছে ময়ূরাক্ষী নদী। ২০০৯-১০ অর্থবর্ষে বাম আমলে ময়ূরাক্ষীর ওপর এই সেতুর শিলান্যাস করেন তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী। সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয় ১৩ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। তারপর ২০১১ সালে রাজ্য রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়। বামফ্রন্টকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। কিন্তু তারপর এক দশক কেটে গেলেও তৈরি হয়নি ওই সেতু। বারো বছর ধরে চলছে বীরভূমের ময়ূরাক্ষী নদীর ওপর এই সেতু তৈরির কাজ। গোটা ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেতু না হওয়ায় নৌকার উপরেই ভরসা করতে হয় তাঁদের।