গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: M.ED-এ প্রবেশিকার মেধাতালিকায় নম্বর বিভ্রাটের কারণ খুঁজতে, তদন্ত কমিটি গঠন করছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি ওই নম্বর বিভ্রাটের জন্য কারা দায়ী, তাঁদেরও চিহ্নিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
M.ED-এ প্রবেশিকার মেধাতালিকায় নম্বর বিভ্রাট হয়েছে। অবশেষে তা মেনে নিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নম্বর বিভ্রাটের কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি তৈরি করতে চলেছে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, বিনয় ভবন থেকে প্রকাশিত M.ED-এ প্রবেশিকার মেধাতালিকায় যে ত্রুটিগুলি ধরা পড়েছে, তার কারণ খুঁজে বের করতে এবং এই ভুলের জন্য কারা দায়ী, তাঁদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সেই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভর্তি প্রক্রিয়া যাতে ত্রুটিমুক্ত হয়, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষা ১০০-তে। কিন্তু তাতে কেউ পেয়েছেন ২০০! আবার কেউ ১০০-তে পেয়েছেন ১৯৮!
গত সোমবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনয় ভবন থেকে প্রকাশিত হওয়া M.ED-এর প্রবেশিকার মেধাতালিকায় ধরা পড়ে এরকমই সব নম্বরের বিভ্রাট। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। এবার সেই নম্বর বিভ্রাটের কারণ খুঁজে বের করতে তৎপর হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি দীর্ঘদিন ধরে পড়ুয়া আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত ছিল বিশ্বভারতী। অচলাবস্থা কাটাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে, আদালতের কাছে হস্তক্ষেপের আবেদন জানায় কর্তৃপক্ষ। পুলিশ বসিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হোক, আবেদন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।
বিশ্বভারতীতে অশান্তির সূত্রপাত গত ৯ জানুয়ারি। সেদিন ছাতিমতলায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়াদের একাংশ। অর্থনীতি বিভাগের একটি ঘরের তালা ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই সোমনাথ সৌ, ফাল্গুনী পান এবং রূপা চক্রবর্তী নামে ৩ পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে উপাচার্যের ঘরের সামনে মঞ্চ বেঁধে চলছে আন্দোলন। পাঁচদিন ধরে গৃহবন্দি উপাচার্য। সকালে দুধ-কলা-পাউরুটি আর সন্ধ্যায় মুড়ি-আলুর দম-কাঁচালঙ্কা। ঘরবন্দি উপাচার্যর কাছে খাবার পাঠালেন আন্দোলনকারীরা। যদিও এসব খাবার গ্রহণ করেননি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। দীর্ঘ সময় ধরেই চলতে থাকে এই চাপানউতোর। এমনকী শিক্ষক দিবসের দিনেও ফুল মিষ্টি রেখে আসা হয় উপাচার্যের বাড়ির সামনে।