ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: চোরাই কয়লা (Coal Smuggling) বাজেয়াপ্ত করল বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি (Nalhati) থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে চারজন কয়লা পাচারকারীকে। এছাড়া পুলিশের জালে আটক করা হয়েছে পাঁচটি মোটরসাইকেল। ধৃতদের নাম মহম্মদ আব্দুল সাত্তার আনসারি, সিরাজ আনসারি, মেরাজ আনসারি ও প্রভাত মণ্ডল। ধৃতদের সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার  গভীর রাতে বীরভূমের নলহাটি থানার শালবনি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ২৫ কুইন্টাল চোরাই কয়লা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ শালবুনি এলাকায় অভিযান চালায়। জানা গিয়েছে যে, ওই এলাকা দিয়ে মোটর সাইকেলে করে চোরাই কয়লা বোঝাই করে পাচার করা হচ্ছিল। সেই সময় পুলিশ কয়লা পাচারকারীদের ধরে ফেলে। অবৈধ কয়লা পাচার করার অভিযোগে চারজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আজ রামপুরহাট মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার  তদন্ত শুরু করেছে নলহাটি থানার পুলিশ।


কিছুদিন আগে একটি খবর এবিপি লাইভ ডিজিটালেই প্রকাশিত হয়েছিল সেখানে দেখা গিয়েছিল সীমান্তে ফের সোনা পাচারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার একটি ঘটনা। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় ব্যর্থ হয়েছিল চোরাচালানের প্রচেষ্টা। উদ্ধার করা হয়েছিল ৫৬ লক্ষ টাকা মূল্যের আটটি সোনার বিস্কুট। সোনার বিস্কুট-সহ এক চোরাচালানকারী ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে BSF. এই চক্রের সঙ্গে আর কে বা কারা যুক্ত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বেতাইয়ে ওই সোনার বিস্কুট আটক করে পাচারের চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে ৮৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্ত চৌকি। আটটি সোনার বিস্কুট-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে এক ভারতীয়কে। তিনি ওই সোনার বিস্কুট বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। (Gold Biscuits)


BSF সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা ওই সোনার বিস্কুটগুলির ওজন ৯৩৩.৫৪ গ্রাম, ভারতের বাজারে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৪২ টাকা। ১০ নভেম্বর ওই বিস্কুটগুলি উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে। ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই চোরাচালানে আর কে বা কারা যুক্ত, জানার চেষ্টা করছে শুল্ক দফতর।


BSF-এর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ওপি নাকায় নিযুক্ত সীমান্ত ফাঁড়ি বেতাইয়ের জওয়ানরা এই ঘটনার পর্দাফাঁস করেন। বাংলাদেশ থেকে সীমান্তের বেড়া পেরিয়ে ভারতের দিকে উড়ে আসে একটি বান্ডিল। বাংলাদেশের দিক থেকে সেটি ছুড়ে দিয়েই এক ব্যক্তি ছুটে পালিয়ে যান। তাতেই BSF তৎক্ষণাৎ সতর্ক হয়ে যায়। এলাকায় টহল দেওয়া বাকি সীমান্তরক্ষীদের কাছেও পৌঁছে যায় খবর। 


এর পর টহল দিতে গিয়ে ভারতের দিকে অন্য চোরাকারবারির সন্ধান মেলে। তিনি উড়ে আসা ওই বান্ডিলটি তুলতে এসেছিলেন। BSF-কে দেখে ওই ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু চারিদিক থেকে তাঁঁকে ঘিরে ফেলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এর পর BSF-এর হাতে পাকড়াও হন তিনি। তার পর তল্লাশি চালিয়ে আটটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয় একটি বোতাম টেপা মোবাইল ফোনও।