আবির ইসলাম, বোলপুর: বোলপুরের নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত আরও ২ জন। এই নিয়ে গণধর্ষণের বিরুদ্ধে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪। এর আগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তিমান ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। 


পরিবারের কী অভিযোগ? 


নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, বহুদিন আগে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ধার নেন নাবালিকার বাবা। কিন্তু, সেই টাকা শোধ করতে না পেরে ৩১ মার্চ শাসক-নেতার কাছে মেয়েকে দিয়ে আসে বাবা। গণধর্ষণের শিকার হয় নাবালিকা। অভিযোগ পরিবারের।                                                                                                             


আরও পড়ুন, "ওঁর হাঁপানি রয়েছে", একজনের হয়ে আরেকজনের ভোট দেওয়ার অভিযোগ আসানসোলে


নির্যাতিতার মাসতুতো দিদির দাবি, টাকা শোধ করতে না পেরে ৩১ মার্চ শাসক নেতার কাছে মেয়েকে দিয়ে আসে বাবা। গণধর্ষণের শিকার হয় নাবালিকা। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছাড়াও গ্রামের দুই বাসিন্দা ও মেয়েটির বাবার নামও এই ঘটনায় জড়ায়। মঙ্গলবার বোলপুর থানায় নির্যাতিতার মাসতুতো দিদি অভিযোগ দায়ের করলে, পুলিশ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করে।                      


একাধিক ধারায় মামলা রুজু: ধৃত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তিমান ঘোষের অবশ্য দাবি, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে, আমি নির্দোষ। পুলিশ জানিয়েছে,  এই ঘটনায় ৩৭৬ D ধারায় গণধর্ষণ, ৫০৬ নম্বর ধারায় হুমকি ও পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার (Police Super, Birbhum) নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “তদন্ত শুরু করেছি, একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে, মেয়েটি হাসপাতালে ভর্তি আছে।’’ পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করতে পারলেও, এখনও অধরা নাবালিকার বাবা-সহ আরও দুই অভিযুক্ত।