ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: ফের বোমা উদ্ধার বীরভূমের (Birbhum Bomb Recovery) পাড়ুই থানার সাত্তোর অঞ্চলে। প্লাস্টিকের ড্রাম ও একটি ব্যাগের মধ্যে বোমাগুলি রাখা ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বম্ব স্কোয়াডে খবর দেওয়া হয়। 


কী জানা গেল?
রাজ্য়ের নানা প্রান্ত থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনা এখন আর নতুন নয়। বিশেষত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে তা অন্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল। সেই তালিকাতেই সাম্প্রতিক সংযোজন বীরভূমের পাড়ুইয়ের ঘটনা। সূত্রের খবর, গত শনিবার রাতে তল্লাশি চালিয়ে মারগ্রাম থানার পুলিশ আনুমানিক ৪০টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। বোমাগুলি ল-পাড়া গ্রামের আখের জমির মধ্যে তিনটি  ব্যাগ ও একটি প্লাস্টিকের জারে রাখা ছিল। তবে কে বা কারা সেগুলি রেখে গিয়েছিল, এখনও স্পষ্ট নয়। কী উদ্দেশ্যে তা রাখা হয়েছিল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। মারগ্রাম থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এখানেই শেষ নয়। রবিবার রাতে আবার লাভপুর থানার পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে গোপালপুরের মাঠ সংলগ্ন এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার করে। খবর যায় বম্ব স্কোয়াডে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে এত বোমা কে বা কারা রেখে যাচ্ছে এমন জায়গায়? কী উদ্দেশ্যেই বা রাখা হচ্ছে? বার বার এমন ঘটনা সত্ত্বেও কেন নড়েচড় বসছে না প্রশাসন? উত্তর নেই কারও কাছে। 


অতীতেও উদ্ধার...
গত অগাস্টে বীরভূমের খয়রাশোলেও ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা  উদ্ধার হয়েছিল। একই দিনে আবার রামপুরহাটে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। খয়রাশোলের ঘটনায় ঝোপের মধ্যে প্লাস্টিকের ড্রাম পড়ে থাকতে দেখেছিলেন গ্রামবাসীরা। তা দেখে সন্দেহ হয়েছিল তাদের। পরে পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে ১৫টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্যই বোমা মজুত করা হয়েছিল বলে স্থানীয়দের অনুমান। এতেই শেষ নয়। খয়রাশোলের ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই রামপুরহাটের রদিপুর গ্রামে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে প্রায় ১২ হাজার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ৬০ টি পিচবোর্ডের বাক্সে ওই বিস্ফোরক রাখা ছিল। কী কারণে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল, খতিয়ে দেখে রামপুরহাট থানার পুলিশ। একই দিনে পর পর দুটি ঘটনায় আলোড়ন শুরু হয় বীরভূমে। আর কত বারুদ রয়েছে রাজ্যের এই জেলায়? প্রশ্ন ও আতঙ্ক তাড়া করছে সাধারণ মানুষকে। 


আরও পড়ুন:মমতার সভার পরই অশান্তি, অনুব্রত ও কাজল-অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৩