প্রকাশ সিনহা, মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আবির ইসলাম, বীরভূম:  পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর তৃণমূলের (TMC) আরও এক হেভিওয়েট নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির জালে। গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সিবিআই সূত্রে খবর, ফৌজদারি দণ্ডবিধির 41A ধারায় গরুপাচার মামলায় সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়েছে বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতিকে। জানা গিয়েছে অনুব্রতের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল রাতেই বোলপুরে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।                           


গতকাল হাজিরা এড়ানোর পর এদিন সকাল ৯টা ৪০-এ আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির সকলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। তল্লাশির পাশাপাশি, দোতলার ঘরে অনুব্রতকে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই অফিসাররা। এরপর গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। মেডিক্যাল টেস্টের পর আজই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হতে পারে অনুব্রতকে।                                      


আরও পড়ুন, গ্রেফতার অনুব্রত, আজই তাঁকে তোলা হতে পারে আসানসোল আদালতে


সিবিআই সূত্রে খবর, এর আগে গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। আজ ওই চিকিত্সকের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত প্রভাব খাটিয়ে চিকিত্সককে দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। কার নির্দেশে ওই সরকারি চিকিত্সক বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাও জানতে চায় সিবিআই। খবর সূত্রের।                                                 


গরুপাচার মামলায় ১০ বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। ৯ বার হাজিরা এড়াল তৃণমূল জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়ান অনুব্রত। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। ৪১ পাতার চার্জশিট পেশ করা আসানসোল আদালতে। সেখানে অনুব্রতর নাম রয়েছে বলেই খবর। সায়গল হোসেনের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের বিস্তারিত তথ্যও রয়েছে সিবিআইএর হাতে এমনটাই খবর।