ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও আবির ইসলাম, বীরভূম: খোদ পুরপ্রধানের ওয়ার্ডে পুকুর (Pond) ভরাটের অভিযোগ ঘিরে সরগরম বোলপুর (bolpur)। এলাকাবাসীর একাংশই এই অভিযোগ তুলেছেন। দাবি, বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক (district magistrate) এবং মহকুমাশাসকের (SDO) কাছে লিখিত অভিযোগও জানান এক বাসিন্দা। বোলপুরের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সঞ্জয় দাস ক্যামেরার সামনে কিছু না বলতে চাননি। তবে এটুকু জানিয়েছেন, বিতর্কটি জায়গাটি  জলাশয় নাকি পুকুর, কী হিসেবে রেকর্ডভুক্ত ছিল, তা বলা মুশকিল। তদন্ত করে দেখা হবে।


কী নিয়ে বিতর্ক?
স্থানীয় সূত্রে খবর,  বোলপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙালি কালিতলা সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিনের পুরনো একটি পুকুর ছিল। নিত্যদিনের নানা কাজের পাশাপাশি পুজো, শ্রাদ্ধের কাজেও স্থানীয় মানুষজন পুকুরটিকে ব্যবহার করতেন। পুকুরটির একাধিক মালিক রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিন বছরের কিছু বেশি সময় ধরে পুকুরটির চারপাশে আবর্জনা ও ইমারতি সামগ্রী ফেলে ভরাট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে পুকুরটির অধিকাংশ জায়গায় আবর্জনা ও ইমারতি সামগ্রী ফেলে ভরাট করে দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনে লিখিত অভিযোগের পরেও পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ হয়নি। জায়গাটি ভরাট করে একটি কমিউনিটি সেন্টার তৈরি করতে চায় পুরসভা, এমন অভিযোগও উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা বোলপুরের প্রাক্তন কাউন্সিলর শৈলেন মিশ্র বলেন, 'পুকুরটি অনেকদিনের। কিন্তু বেশ কিছু বছর ধরে সেটি ভরাট চলছে। শুনছি, এখানে নাকি পুরসভার কমিউনিটি হল তৈরি হবে। বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত।” অভিযোগ মানতে চাননি পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ। তিনি বলেন, “ওটা যে পুকুর ছিল, তা আমার জানা নেই। এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত,  এই ওয়ার্ডে আগে বিজেপির কাউন্সিলর ছিলেন। এক বছর আগে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হন পর্ণা। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে বারাসাতে পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন বারাসাত পুরসভার প্রাক্তন প্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, বারাসাত পুরসভার দু'নম্বর ওয়ার্ডে অবাধে পুকুর ভরাট চলছে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি অভিযোগও দায়ের করে পুরসভা। এর দিনপাঁচেক আগে দলেরই প্রাক্তন পুরপ্রধান কয়েকজন পুর-আধিকারিকের বিরুদ্ধে নাম না করে অবাধে পুকুর ভরাটের অভিযোগ আনেন প্রাক্তন পুরপ্রধান। তার এক দিন পরেই পুকুর বোজানোর ঘটনা সামনে আসে।


আরও পড়ুন:১৫ দিনের ডেডলাইন, বলপ্রয়োগের হুঁশিয়ারি! অমর্ত্য সেনকে ফের নোটিস বিশ্বভারতীর