গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: এক্সাইড মোড়ের ছায়া বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজারে (Ilambazar)। চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে ক্লাবের ভিতরে বেধড়ক মারধর এক পুলিশ অফিসার ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। ভাইরাল হয়েছে মারধরের ছবি। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (Police Super) জানিয়েছেন, ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত চলছে। এদিকে, চোর সন্দেহে ধৃত ৬ জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে।


এক ব্যক্তিকে বাঁ পায়ে কষিয়ে লাথি পুলিশ অফিসারের। এর পর ডান কাঁধের নীচে চাপড়। পাশ থেকে এসে লাঠিপেটা করছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic volunteer)। মারের চোটে আর্তনাদ করছেন এক ব্যক্তি।


বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজারের (Ilambazar) শালডাঙা গ্রামের এই ছবি ভাইরাল হতেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।  


স্থানীয়দের দাবি, সরকারি নথি জাল করে বিদ্যুতের খুঁটি কেটে নেওয়ার কাজ করছিল ৫ জন। সন্দেহভাজনদের ধরে এনে স্থানীয় ক্লাবে আটকে রেখে ইলামবাজার থানায় (Ilambazar Police Station) খবর দেন স্থানীয়রা। এরপর ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক সন্দেহভাজনকে লাথি মারছেন এক পুলিশ কর্মী, সঙ্গে ছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। পরে অভিযুক্ত পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। বীরভূমের পুলিশ সুপার (Birbhum Police Super) নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ওই পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে এসডিপিও-কে। 


এর আগে ৭ নভেম্বর, কলকাতার এক্সাইড মোড়ে মোবাইল চোর সন্দেহে এক যুবককে মাটিতে ফেলে বুট দিয়ে বুকে-পেটে লাথি মারতে দেখা যায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই ছবি। পরে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়। 


ইলামবাজারের ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানান, আমার নজরে ঘটনাটি এসেছে আমি এসডিপিও কে ঘটনার রিপোর্ট জমা করতে বলেছি। যেটা জেনেছি একটা চোর ধরা পড়েছিল তাকে জনতার রোষ থেকে বাঁচাতে একটি ক্লাবে রাখা হয়েছিল সেখানে আমাদের পুলিশ আধিকারিকরা তাকে মারধর করেছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি তাদের ডিপার্টমেন্টাল তদন্ত শুরু হয়েছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া নেওয়া হবে।


ইলামবাজারের শালডাঙ্গা গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি চুরির সন্দেহে ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সেই ঘটনায় আজ বোলপুর আদালতে তোলা হলে শেখ শামীম, সাইদুল সেখ , আসাদুল শেখ,  আনারুল হক, মিরাজুল সেখ, কালাম উদ্দিন খান এই ছয় জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেন বিচারক। যদিও এই ঘটনায় আগামী ১৩ ডিসেম্বর চার্জশিট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে পুলিশকে। ফের ১৮ই ডিসেম্বর বোলপুর আদালতে (Bolpur) তোলা হবে অভিযুক্তদের ।