নান্টু পাল, তারাপীঠ: যতটা অনুমতি তার থেকে অতিরিক্ত লোডে বিদ্যুৎ (power) ব্যবহারের অভিযোগ উঠল তারাপীঠের (tarapith) অধিকাংশ হোটেল(hotel)মালিকের বিরুদ্ধে। সন্দেহের তালিকাভুক্ত হোটেল মালিকদের নোটিস পাঠিয়ে আজ একটি বৈঠকও করেন বিদ্যুৎ দফতরের (power department) আধিকারিকরা। যদিও ক্ষুব্ধ হোটেল মালিকদের অভিযোগ, সঠিক ভাবে তদন্ত না করেই নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁদের। 
কোথায় বিতর্ক:
তারাপীঠে প্রায় চারশোর উপর হোটেল রয়েছে। নানা ধরনের পার্বণে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় বীরভূমের এই শক্তিপীঠে। এর পর ভাদ্র মাসে কৌশিকী অমাবস্যা। সেই উপলক্ষে এখানে লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থীর আসার কথা। কিন্তু তার আগেই বিদ্যুৎ দফতরের তৎপরতায় ক্ষুব্ধ হোটেল কর্তৃপক্ষ। মালিকদের বক্তব্য, অতিরিক্ত লোডের অভিযোগে প্রায় তিনশো হোটেলকে নোটিস পাঠিয়েছেন বিদ্যুৎ আধিকারিকরা যার কোনও ভিত্তি নেই। তাঁদের অভিযোগ, নিজেদের খেয়ালখুশিমতো নোটিস পাঠানো হয়েছে। হোটেল মালিকরা বলছেন, দু'একজনকে পাঠিয়ে তদন্ত করেছে বিদ্যুৎ দফতর। এভাবে হবে না। তাঁরা চান, প্রয়োজনীয় যন্ত্র দিয়ে মিটার মাপার পরই যেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়।
সময় দিল বিদ্যুৎ দফতর:
বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আজ তারাপীঠের একটি বেসরকারি হোটেলে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হোটেল মালিকদের দাবি মেনে নেয় বিদ্যুৎ দফতর। তবে আধিকারিকদের দাবি, কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁরা তদন্ত করে দেখেছিলেন বেশ কিছু হোটেল মালিক বিদ্যুৎ দফতরকে না জানিয়েই অতিরিক্ত লোড ব্যবহার করছে। আজ তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন আধিকারিকরা। জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত লোডের প্রয়োজন হলে সেই মর্মে আবেদন করতে হবে। সে জন্য একমাস সময়ও দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর।  

  
উল্লেখ্য এই অভিযোগ নতুন নয়। প্রতি বছরই কৌশিকী অমাবস্যার আগে অতিরিক্ত লোড ব্যবহারের অভিযোগের তদন্ত করে বিদ্যুৎ দফতর। শেষ ২০১৯ সালের তদন্তেও দেখা গিয়েছিল বেশ কিছু হোটেল অনুমোদিত মাত্রার থেকে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। তার পরের দু'বছর করোনার জন্য কৌশিকী অমাবস্যায় জমায়েত হয়নি। বন্ধ ছিল তদন্তও। কিন্তু এ বছর তদন্তেও দেখা গেল, সমস্যা মেটেনি। বলছে বিদ্যুৎ দফতর। 


আরও পড়ুন:আপাতত এবছর স্নাতকে কেন্দ্রীয় অনলাইনে ভর্তি নয়', জানালেন শিক্ষামন্ত্রী