আবির ইসলাম, বীরভূম: বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনে মার্কশিটকাণ্ডের জের। বিভাগীয় প্রধানকে অপসারণের পর, এবার বিলি হওয়া মার্কশিট ফেরাতে বিজ্ঞপ্তি জারি। নোটিসে উল্লেখ, যাঁরা মার্কশিট পেয়েছিলেন, তাঁদের ৮ অগাস্টের মধ্যে তা বিনয় ভবনের প্রধানের কাছে জমা দিতে হবে। পড়ুয়াদের হাতে নতুন মার্কশিট দেওয়া হবে বলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বিনয় ভবনে মার্কশিট-বিতর্কের জেরে এডুকেশনের বিভাগীয় প্রধান বেণুধর চিনারাকে আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে বিনয় ভবনের অধ্যক্ষ। 


উল্লেখ্য, গত জুলাইতে কালী পুজো নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সভাপতিত্ব করবেন খোদ উপাচার্য। ব্রাহ্ম উপাসনার পীঠস্থানে কালী পুজো নিয়ে আলোচনাসভা আয়োজনের বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। 


তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের কালী নিয়ে মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক!প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কালী-বন্দনা পাশাপাশি সংসদ ভবনে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের থেকে বাংলার কালীপুজো নিয়ে খোঁজখবর। ২৮ জুলাই রাজ্য বিজেপির সদর দফতরের বাইরে মহিলা মোর্চার কালী পুজো। কালী নিয়ে চলা বিতর্ক এবং টানাপোড়েনের মধ্যেই এবার 


কালী পুজো নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আলোচনাসভার নাম দেওয়া হয়েছে, The concept of Kali Workshop বা কালী পূজার ধারণা। এই হল সেই বিজ্ঞপ্তি। ২৫ জুলাই বিকেল চারটেয়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির কনফারেন্স হলে হবে এই আলোচনা সভা। তাতে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুত্‍ চক্রবর্তী। কিন্তু ব্রাহ্ম উপাসনার পীঠস্থান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কালী পুজোর ধারণা’ সংক্রান্ত আলোচনা সভার আয়োজনের খবর সামনে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক!


দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন কারণে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। অবিলম্বে নিতে হবে অফলাইন পরীক্ষা (Offline Exam)। এই দাবিতে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati University) পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। উপাচার্যের কাছে ইমেল (Email) মারফত্‍ ডেপুটেশন দেন বিক্ষোভকারীরা। এনিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


কী ঘটেছিল? ফের অশান্ত শান্তিকেতন। ছাত্র-বিক্ষোভে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। দরজা বন্ধ থাকায়, কেন্দ্রীয় অফিসের পিছন দিকে, টিনের ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢোকেন বিক্ষোভকারীরা। পড়ুয়াদের দাবি, যে পরীক্ষাগুলি বাকি রয়েছে, অবিলম্বে অফলাইনে তা নিতে হবে। 


সূত্রের খবর, অনলাইন না অফলাইন, এই দোলাচলে, বিশ্বভারতীর প্রায় ৮টি ভবনের ফাইনাল সিমেস্টারের কয়েকটি পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পড়ুয়াদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, গত ৮ জুলাই পরবর্তী পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হবে। কিন্তু, তারপরও ১০ দিন হয়ে গেছে। এখনও পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। আন্দোলনকারীদের দাবি, এর জেরে, অনিশ্চয়তার মুখে ফাইনাল সিমেস্টারের শতাধিক পড়ুয়া৷