নান্টু পাল, বীরভূম: ফের বিস্ফোরক (explosive) উদ্ধার বীরভূমে (birbhum)। নলহাটি, মহম্মদবাজারের পর এবার রামপুরহাট (rampurhat) থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। খবর ছড়াতেই চাঞ্চল্য বাড়ে এলাকায়।
কী হয়েছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বিকেলে রামপুরহাটের রদিপুর গ্রামের বাসিন্দা বিন্দু মণ্ডল ও তাজেরুল ইসলাম মোটরবাইক করে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ডিটোনেটর ও গুলি নিয়ে আসছিল। পুলিশের ধারণা, ঝাড়খণ্ড থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল ওগুলি। রামপুরহাটের রদিপুর গ্রামের কাছে তাঁদের আটক করা হয়। তখনই অন্তত ২ হাজার পিস ডিটোনেটর পাওয়া যায় বিন্দু ও তাজেরুলের থেকে। মোটরসাইকেলদুটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু এত বিস্ফোরক নিয়ে কোথা থেকে আসছিলেন তাঁরা? কোথায় যাচ্ছিলেন? কী উদ্দেশ্য ছিল? সবটাই তদন্ত করে দেখছে বীরভূম জেলা পুলিশ। তবে বীরভূমে একের পর এক বিস্ফোরক উদ্ধার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
রাজনৈতিক তরজা...
বিজেপির বীরভূম জেলা সাংগঠনিক সভাপতি ধ্রুব সাহার অভিযোগ, 'বিস্ফোরক উদ্ধার হচ্ছে নাকি আইওয়াশ করছে তৃণমূল? প্রতি দিন বীরভূমে গাড়ির পর গাড়ি জিলেটিন স্টিক ঢোকে। অবৈধ পাথর খাদানে কাজে লাগে এগুলি। পুলিশ খুব কাজ করছে এটা মানুষকে দেখানোর জন্য সব কিছু করা হচ্ছে। তবে বীরভূম যে বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে, এটা সত্যি।' অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকদলের প্রতিনিধিরা। তৃণমূলের বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক ত্রীদিব ভট্রাচার্য বলেন,'পুলিশ নিজের কাজ করছে। বিজেপি সব ফালতু কথা বলে। কোনও ভিত্তি নেই। আর ওরা যদি জানে বীরভূম বারুদের স্তুপে দাড়িয়ে আছে, তা হলে পুলিশ কে বলে দিক কোথায় সেই স্তুপ। পুলিশ নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।'
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসের গোড়ার দিকে পর পর তিন দিন বীরভূমের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তখনও শোনা গিয়েছিল, জেলার একাধিক বেআইনি পাথর খাদান ও কয়লা খনিতে এই বিস্ফোরক সরবরাহ করা হত। যদিও নাশকতার আশঙ্কাও পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি গোয়েন্দারা। রাজনৈতিক তরজা চলছে তখন থেকেই।
আর এসবের মাঝেই একের পর এক বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনা ঘটে চলেছে। কেন হচ্ছে এ রকম? প্রশ্ন থাকছেই।
আরও পড়ুন:রাজ্যে আক্রান্ত বেড়ে আচমকাই দ্বিগুণ, কোভিডে কোথায় দাঁড়িয়ে মৃত্যু ?