গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বোলপুর: বোলপুরে (Bolpur) কোপাই নদীর (Kopai River) তীরে কঙ্কালীতলা মন্দির (Kankalitala Temple)। সতী পীঠের অন্যতম এই স্থানে মায়ের কাঁকাল অর্থাৎ কোমরের হাড় পড়েছিল বলে কথিত রয়েছে। ৫১ পীঠের শেষ পীঠ কঙ্কালীতলা। এখানে একটি কুণ্ড রয়েছে। মায়ের স্নানজল হিসেবে ব্যবহার হয় এই কুণ্ডের জল। এখানে মহাকালী (Maha Kali) রূপে পূজিতা হন মা। দুপুরে অন্নভোগে মাকে দেওয়া হয় ৫ রকমের ভাজা, ডাল, ফ্রায়েড রাইস, বাঁধাকপির তরকারি, চাটনি ও পায়েস। দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষে অন্যান্য বছরের মতো এবারও কঙ্কালীতলায় ভক্তদের ভিড়। করোনা আবহে রয়েছে কড়াকড়ি। রাতে শ্যামা মায়ের বিশেষ পুজো (Kali Puja) হবে।


বছরে ৩৬৫ দিনই দেবী কঙ্কালী (Goddess Kankali) পূজিত হন। আর আজ কালীপুজোর (Kali Puja)  দিন মহাকালী (Maha Kali) রূপে পূজিত হচ্ছেন দেবী কঙ্কালী। রীতি মেনেই সকাল থেকে শুরু হয় পুজো। আর এই পুজোকে ঘিরে বহু মানুষের সমাগম হয় কঙ্কালীতলা মন্দিরে। কথিত আছে, কঙ্কালীতলায় সতীর কাঁকাল অর্থাৎ কোমর পড়েছিল। সেই থেকেই এই তীর্থের নাম কঙ্কালীতলা। আবার আরেকটি মত অনুযায়ী, দক্ষযজ্ঞের পর সেখানে দেবী পার্বতীর (Parvati) কঙ্কাল পড়েছিল, সেই থেকেই এই নামকরণ। এই শক্তিপীঠের দেবী গর্ভাদেবী নামে প্রসিদ্ধ। ভৈরব রুরু নামে পূজিত হয়।


দেবীর মন্দির সংলগ্ন একটি কুণ্ড রয়েছে। শোনা যায়, সেখানে বহু মাহাত্ম্য লুকিয়ে আছে। কুণ্ডের মধ্যে কয়েকটি প্রস্থর খণ্ড আছে, যেগুলিকে সাধকরা দেবীর দেহের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই প্রস্থর খণ্ডগুলি কুণ্ড জল শুকিয়ে যাওয়ার পর তোলা হয়, পুজোর পরে সেগুলিকে কুণ্ডের জলে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। কথিত আছে, কঙ্কালীতলার কুণ্ডের সঙ্গে কাশীর (Kashi) মনিকর্নিকা (Manikarnika) ঘাটের সরাসরি সংযোগ আছে। কঙ্কালীতলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা রকম অলৌকিক ঘটনাও।


আরও পড়ুন: Kali Puja 2021: অমাবস্যা পড়তেই পুজো শুরু হল সিঙ্গুরের ডাকাত কালী মন্দিরে, মানা হচ্ছে করোনা বিধিনিষেধ