বীরভূম : বোলপুরে কোপাই নদীর তীরে কঙ্কালীতলা মন্দির। কালীপুজো উপলক্ষ্যে এখানে আজ বিশেষ পুজো।  সারা রাত ধরে চলে পুজো।


সতীপীঠের অন্যতম এই স্থানে মায়ের কাঁখাল অর্থাৎ কোমরের হাড় পড়েছিল বলে কথিত রয়েছে। একান্ন পীঠের শেষ পীঠ কঙ্কালীতলা। এখানে একটি কুণ্ড রয়েছে। মায়ের কাঁখাল। স্নানজল হিসেবে ব্যবহার হয় এই কুণ্ডের জল। মন্দির লাগোয়া একটি শ্মশানও রয়েছে। এদিন অন্নভোগে মাকে দেওয়া হয় ঘি ভাত, সাদা ভাত, পাঁচ রকমের তরকারি, ডাল, চাটনি ও পায়েস।


সতীর কাঁখাল নিমজ্জিত কোথায়
বীরভূম জেলার অন্যতম পর্যটনক্ষেত্র শান্তিনিকেতন। রেলপথে বোলপুর-শান্তিনিকেতনের পরের স্টেশন প্রান্তিক। এই প্রান্তিক স্টেশনকে পাশ কাটিয়ে শান্তিনিকেতন থেকে আট কিলোমিটার দূরত্বে কঙ্কালীতলা।  এখানকার প্রধান আকর্ষণ কুণ্ড। বিশ্বাস, এখানে নিমজ্জিত আছে সতীর কাঁখাল ! এই কুণ্ডের ঈশাণ কোনে দেবী সতীর কাঁখাল নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। দেবী ছাড়াও কুণ্ডে পঞ্চশিব অবস্থান করছেন। কোমর বা কাঁখাল থেকে স্থানীয় ভাবে দেবীর নাম রয়েছে কঙ্কালী। তবে পৌরাণিকভাবে এখানকার দেবী বেদগর্ভা নামেই পরিচিত। প্রচলিত নামানুসারেই এলাকার নাম হয়েছে কঙ্কালীতলা। তবে লোকশ্রুতিতে এই কুণ্ডের মাহাত্ম্য মুখে মুখে। 


বিশেষ পুজো তারাপীঠেও
আলোর মালায় সেজেছে গোটা মন্দির৷ পুণ্যার্থীদের ভিড়ে সরগরম মন্দির চত্বর। সকালে স্নানের পর দেবীর শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে রাজবেশে সাজিয়ে তোলা হয়। চুনরি পরিয়ে সাজানো হয় মাকে। এরপর পঞ্চ উপাচারে মঙ্গলারতি এবং নিত্যপুজো৷ মাকে দেওয়া হয় শীতল ভোগ। নিবেদন করা হয় মিষ্টি, ফল ও মিছরি ভেজানো জল। কালীপুজোর দিন তারা মাকে পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়৷


আজ অমাবস্যা  কখন শুরু  ?
হিন্দুশাস্ত্রমতে অমাবস্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে হয় কালী পুজো বা শক্তির আরাধনা। কালী রূপের পাশাপাশি এই বিশেষ দিনে দেবী লক্ষ্মী (Lakshmi Puja)-গণেশের পুজো (Ganesh Puja) রূপেও পুজিত হন দেবী। এই কালীপুজোকে দ্বীপান্বিতা কালীপুজোও বলা হয়। সোমবার অমাবস্যা তিথি  ২৪ অক্টোবর সন্ধে ৪টে ৫৭ মিনিট ৬ সেকেন্ডে শুরু হবে। পরের দিন ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল ৪টে ২৬ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ছাড়বে অমাবস্যা। অমৃত যোগ- অমৃত যোগ থাকবে সকালে ৭টা ২০-রাত্রি ৩টে ১৬ মিনিট পর্যন্ত।