এরশাদ আলম এবং ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালার থেকে উদ্ধার (rescue) বীরভূমের (birbhum) সাঁইথিয়ার (sainthia) দুই অপহৃত (kidnapped) জমি ব্যবসায়ী (land traders)। অপহরণ ও মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


কী ঘটেছিল?
পরিবার সূত্রে খবর, গত কাল সকালে কলকাতা যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোন দুই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, দুপুর ২টো নাগাদ ফোন করে দু’জনকে অপহরণের কথা জানিয়ে ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। অপহরণকারীদের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ টাকা পাঠায় ব্যবসায়ীদের পরিবার। এরপর অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তদন্তে নেমে মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে মুর্শিদাবাদের সালারের কাগ্রাম থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয় দুজনকে। ব্যবসায়িক কারণে অপহরণ কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় হইচই গোটা এলাকায়। কখনও অস্ত্র উদ্ধার, কখনও অপহরণ, কখনও আবার নৃশংস খুনের অভিযোগ-বার বার নানা ঘটনায় বীরভূমের নাম কেন উঠে আসছে? প্রশ্ন একাধিক মহলে।


অস্ত্র উদ্ধার বীরভূমে...
গত কালই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল বীরভূমের নানুরে। শনিবার ভোর রাতে বীরভূমের নানুর থানার হাটসেরান্দি গ্রামের কাছে রাস্তার উপর তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য এলাকায়। উঠেছে প্রশ্নও। বীরভূমে কেন বার বার হদিশ মেলে অস্ত্রের? গত কালের ঘটনায় ফের আলোচনায় এই প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিনের তল্লাশি অভিযানে একটি দেশি পিস্তল, একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, ছয় রাউন্ড কার্তুজ ও  একটি মোটর বাইক উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায়  মিঠুন শেখ ও জহির শেখ নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃতেরা অস্ত্রগুলি বিক্রির উদ্দেশ্যে বোলপুরের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রেকর্ড বলছে, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা বীরভূমে নতুন কিছু নয়। গত ১০ মে-ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল বীরভূম থেকে। সে বার বীরভূম জেলা পুলিশের তরফে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৪ রাউন্ড কার্তুজ-সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ধৃত ওই দুই ব্যক্তির বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। নাম ফুলবাবু এবং মিলন খান। ধৃতদের কাছ থেকে একটি কারবাইন, একটি নাইন এমএম, একটি ৭ এমএম এবং একটি ওয়ান শটার ও ৩৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয় বলে খবর। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছিলেন, ২৭ এপ্রিল কীর্ণাহার থানা এলাকা থেকে দুই দুষ্কৃতীকে ৫৭ রাউন্ড কার্তুজ সহ ধরা হয়েছিল। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই দুই ব্যক্তির নাম উঠে আসে। পুলিশ সুপার বলেন, 'আমরা খবর পেয়েছিলাম তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বীরভূমের নানুর থেকে বর্ধমানের মঙ্গলকোটে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।' এরপর নানুর এবং কীর্ণাহার থানার পুলিশ এই দুজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। 


আরও পড়ুন:ধরাছোঁয়ার বাইরে চিন, এগিয়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তানও, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে আরও নিচে নামল ভারত