ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: ফের ক্ষোভের মুখে (agitation of villager) পড়লেন দিদির দূত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ (didir doot chandranath singh)। তাঁর সামনেই গ্রামবাসীরা (agitation at birbhum) অভিযোগ করলেন, পুকুর বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর প্রতিবাদ করলেই কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।



কী ঘটেছিল?
রবিবার বীরভূমের মহম্মদবাজারের আঙারগড়িয়া অঞ্চলে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দিদির দূত হিসেবে যান মন্ত্রী। সেখানেই পুকুর বোজানোর অভিযোগ নিয়ে মন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতকে জানানো সত্ত্বেও তাদের তরফে কেউ আসেনি। থানার তরফেও কাউকে আসতে দেখা যায়নি। সঙ্গে প্রশ্ন, 'এর পর কার কাছে যাব? ১৪৪ করা হয়েছে জায়গাটার উপর। বলুন তাহলে আমাকে। আমরা কার কাছে যাব?' মন্ত্রীর সামনে আঙারগড়িয়া অঞ্চলের সভাপতিকে দেখিয়ে গ্রামবাসী বলেন, ওঁকে পুকুর বোজানোর বিষয়টি জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেননি। তখন অঞ্চল সভাপতি বিষয়টি মেনেও নেন।

মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া...
রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী সব শুনে বলেন, 'মানুষ নিজের সমস্যার কথা বলেছেন।' যদিও এটি প্রথম বার নয়। এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি খয়রাশোলের হজরতপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষোভের মুখে পড়েন চন্দ্রনাথ সিংহ। তাঁকে সামনে পেয়ে বেআইনিভাবে টোল ট্যাক্স আদায়ের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় টোটোচালকরা। এবার পুকুর বোজানো নিয়ে অভিযোগের মুখে দিদির দূত ও রাজ্য়ের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। গোটা ঘটনা ঘিরে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে নানা জেলায় বারবার নানা ক্ষোভ বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে দিদির দূতেদের। শনিবার সকালেও কার্যত এক ঘটনা ঘটে কোচবিহারে। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে বেরিয়ে, কোচবিহারের গুড়িয়াহাটি এক নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় যান দিদির দূত, তৃণমূল নেতা ও কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন এবং পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ। সেখানে বাবুরহাটের সরকারি হোম শহিদ বন্দনা স্মৃতি মহিলা আবাস পরিদর্শনে যান তাঁরা। কিন্তু সেখানে প্রথমে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেন হোমের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা আধিকারিক। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সভাধিপতিকে। কোচবিহারের জেলা সভাধিপতি ও তৃণমূল নেতা উমাকান্ত বর্মনকে বলতে শোন যায়, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা প্রজেক্ট চলছে। দিদির সুরক্ষা কবচ। দিদির দূত হিসেবে গুড়িয়াহাটি ১ জিপিতে আমি এসেছি। সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ভিজিট হল। পাশে যেহেতু শহিদ বন্দনা স্মৃতি মহিলা আবাস আছে সেখানে আমি আর আমার কর্মাধ্যক্ষ ভিতরে গিয়ে পরিবেশটা একটু দেখব। অন্য কেউ আর যাবে না। ডিএম সাহেব বললেন, আপনারা যান ঘুরে আসুন। আপনাকে ফোনটা দিলাম। ডিএম সাহেব আপনাকেও বলে দিল। তারপরও আপনি আমাকে ওমুককে ফোন করবেন, তমুককে ফোন করবেন..কোনও খবর নাই, আমি দাঁড়িয়ে আছি।' ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থাকার পর শেষে হোমে ঢোকার অনুমতি মেলে। কিন্তু এদিন আর সরকারি হোমে যাননি দুই তৃণমূল নেতা। পরে উমাকান্ত বর্মন বলেন,'অনেকক্ষণ ছিলাম। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করার সময় হবে না। তাই ভিজিটের জন্য গেলাম না। ডিএম সাহেবকেও বলব। অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণেই হতে পারে।'

আরও পড়ুন:যমে-মানুষে লড়াইয়ে ইতি, সকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে সন্ধেতেই প্রয়াত ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবকিশোর দাস