ভুবনেশ্বর: যমে-মানুষে টানাটানি শেষ। অ্যাপোলো ভুবনেশ্বর হাসপাতালে (Odisha minister Nabakishore Das Dies) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবকিশোর দাস। আজ সকালেই এক সাব ইনস্পেক্টরের গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। সন্ধে পর্যন্ত চলল লড়াই। তবে শেষরক্ষা হল না।


প্রতিক্রিয়া...
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন অকস্মাৎ মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। বলেন, 'উনি দল ও সরকার, দু-পক্ষের জন্যই সম্পদ ছিলেন। ওঁর মৃত্যু গোটা ওড়িশার কাছে বড় ধাক্কা।' এদিন সকালেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। ঝাড়সুগড়া জেলার ব্রজরাজনগরে ঘটনাটি ঘটে। বুকে গুলি লাগে ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কে বা কারা হামলা চালাল, তা প্রাথমিক ভাবে স্পষ্ট না হলেও পরে উঠে আসে এক অ্য়াসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টরের গুলিতেই জখম হয়েছেন নবকিশোর দাস। সংবাদংস্থা এএনআই জানায়, একটি সরকারি দফতরের উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হয়ে আসছিলেন নবকিশোর। অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছতেই বিশাল জনতা তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে জড়ো হয়। তখনই হঠাৎ বন্দুকের আওয়াজ পাওয়া গিয়েছিল। দেখা যায়, একেবারে কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে তাঁকে। চারদিকে পুলিশকর্মীদের তীব্র হুড়োহুড়ি, দৌড়োদৌড়ি।  


কী ঘটেছিল?
অভিযুক্ত এএসআইয়ের নাম গোপাল দাস। ঘটনার সময় গাঁধীচকের দিকে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন নবকিশোর। গাড়ি থেকে নামার সময়ই ওই এএসআইয়ের গুলি বুকে লাগে তাঁর, প্রাথমিক ভাবে এমনই জানা গিয়েছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে 'এয়ারলিফট' করে ভুবনেশ্বরে নিয়ে আসা হয়। শুরু হয়ে যায় লড়াই। ডাক্তার ও জীবনদায়ী যন্ত্রের সাহায্যে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চলে তাঁকে। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। বলেন, 'স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাসের উপর হামলার ঘটনায় আমি স্তম্ভিত। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।' এই ঘটনার তদন্তভার নেওয়ার জন্য অপরাধদমন শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই দফতরের সিনিয়র অফিসারদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সন্ধে হতে না হতেই সব লড়াই শেষ। বাঁচানো গেল না গুলিবিদ্ধ মন্ত্রীকে। আপাতত সাইবার বিশেষজ্ঞ, ব্যালিস্টিক এক্সপার্ট-সহ সাত সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে। ডেপুটি এসপি রমেশ ডোরা দলের নেতত্ব দেবেন। কিন্তু একদিনের মধ্যে যে ভাবে একজন মন্ত্রীর প্রাণ চলে গেল, তার পর সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশ্ন উঠছেই।   


আরও পড়ুন:অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন নোভাক জকোভিচ, নাদালকে ছুঁয়ে ঝুলিতে সর্বাধিক গ্র্যান্ডস্লাম