মল্লারপুর (বীরভূম): মা ও শিশুপুত্রকে খুনের (Mother Son Killed In Mallarpur) অভিযোগ উঠল বীরভূমের মল্লারপুরে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করল বিজেপি। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মা ও শিশুপুত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মহিলার স্বামী ভিন রাজ্যে কাজ করেন। পরিবারের অভিযোগ, ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে তাদের খুন করা হয়েছে। কীভাবে মৃত্যু? তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
মাসখানেক আগেকার অন্য একটি ঘটনা..
মল্লারপুরের ঘটনা হয়তো গত মাসের একটি ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেবে অনেককে। সেটি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে ঘটে। সেখানে চার বছরের ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন মা। অভিযোগের তির ছিল মৃতার স্বামীর দিকে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, শুভঙ্কর অধিকারী এবং তাঁর স্ত্রী বিশ্বমিত্রা অধিকারী ওরফে প্রিয়াঙ্কার মধ্যে প্রায়ই বচসা লেগে থাকত। মত্ত অবস্থায় স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন স্বামী। ঘটনার দিন সম্ভবত তা চরমে ওঠে। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চার বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বিশ্বমিত্রা। এরপর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। তবে মল্লারপুরের ক্ষেত্রে খুনের তত্ত্বই বেশি জোরাল।
পশ্চিম বর্ধমানের ঘটনা...
রাজ্যের এক জেলায় যখন মা-শিশুপুত্রের রহস্যমৃত্যু ঘিরে হইচই, তখনই অন্য এক জেলায় আবার স্বামী-স্ত্রীর একযোগে দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পশ্চিম বর্ধামনের অন্ডালের উখড়ার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির ভুয়াপাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, বিছানায় স্ত্রীর দেহ পড়ে ছিল, আর তার পাশে গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় ঝুলছিলেন স্বামী। প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর আত্মঘাতী হন মাঝবয়সী নীলকণ্ঠ বাউরি। নীলকণ্ঠর স্ত্রীর নাম লিলি বাউরি বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান সত্যি হলে প্রশ্ন ওঠে, কেন এরকম করলেন নীলকণ্ঠ বাউরি? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে প্রাথমিক ভাবে যতটুকু জানা যাচ্ছে তাতে পুলিশের ধারণা দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগে ছিল। বুধবার রাতে সেই বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। সম্ভবত, তখনই নীলকন্ঠ বাউরি দেওয়ালে 'আমরা একসঙ্গে যাব', এই বার্তা লিখেছিলেন। তার পর পরই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন, এবং গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা।
আরও পড়ুন:দোল শেষ হতেই বীরভূমে ফিরছে ঝকঝকে আকাশ, পাল্লা দিয়ে বাড়বে গরমও?