ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও নান্টু পাল, বীরভূম: কাটাগড়িয়া মোড়ে আগুনে (Fire Incident) ভষ্মীভূত হয়ে গেল একটি মোটর পার্টসের দোকান। শনিবার মাঝরাতে দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, নলহাটি (Nalhati) থানার অন্তর্গত নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের কাটাগড়িয়া মোড়ে একটি মোটর পার্টসের দোকানে (Motor Parts Shop) আগুন লেগেছিল। আগুন নজরে আসতেই পুলিশ এবং দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। ২টি ইঞ্জিন প্রায় তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তবে দোকানে বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুনের তীব্রতা ছিল অনেক বেশি।


আগে আগুন...
এ রাজ্যে অগ্নিকাণ্ড নতুন কোনও ঘটনা নয়। এমনকি আগুন লাগায় বিপদে পড়েছিল ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালও। গত ৩১ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ চারতলা বিল্ডিংয়ের নীচের তলায় ইলেকট্রিক প্যানেল বক্সে আগুন লাগে। ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা বিল্ডিং। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। দ্রুত তাঁদের নামিয়ে আনা হয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে পৌঁছনোর আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলেন হাসপাতালের কর্মীরা। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে দমকল জানিয়েছে। আগুন থেকে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবুও আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতালে। সপ্তাহের কাজের দিনে এমনভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছিল হাসপাতাল চত্বরে। 
তার কদিন আগেই শিয়ালদায় বি আর সিং হাসপাতালে আগুন লেগেছিল। সেই দুপুরে আচমকা ধোঁয়া বেরোতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের আপদকালীন বিভাগে কাছেই আগুন লাগে। তা থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। আচমকা এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগীর পরিবার থেকে চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতাল কর্মীদের সকলে। আপদকালীন বিভাগের বাইরে বেরিয়ে আসেন চিকিৎসক, নার্স এবং হাসপাতালের কর্মীরা। খবর পেয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বিভাগ। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পৌঁছয় সেখানে। হাসপাতাল চত্বরে বসানো হয় হোসপাইপ।  জানলার গ্রিলের মধ্যে দিয়ে পাইপ ঢোকানো হয় ভিতরে। তার পর পুরোদমে কাজে নেমে পড়েন দমকল বিভাগের কর্মীরা। হাসপাতালের কর্মীদের সকলকে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে যেমন দমকলবাহিনী পৌঁছয়, তার পাশাপাশি এসে পৌঁছয় রেল পুলিশের একটি দলও। এন্টালি থানার একটি দলও পৌঁছয় হাসপাতালে। 


ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার মেডিকা হাসপাতালে আগুন লেগেছিল। হাসপাতাল ভবনের বাইরে স্টোররুমে আগুন লেগেছিল। সেখানকার কাছেই জরুরি বিভাগ থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সেখান থেকে সরানো হয় রোগীদের। মূল হাসপাতাল চত্বরে অবশ্য আগুন লাগেনি। দমকল কর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে স্টোর রুমের দাহ্য বস্তু বাইরে বের করে আনেন। যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় আগুন নেভানোর কাজ চলতে থাকে। চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেছিলেন, 'এই স্টোর যেটা রয়েছে সেটা মূল হাসপাতাল চত্বরের বাইরে। ৫.১০ নাগাদ আগুন লাগে। দমকল কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে কম্পাউন্ডে বেশ কিছুক্ষণ ধোঁয়া ছিল। সবার চেষ্টাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গুরুতর কিছু হয়নি। মূল হাসপাতালে কোনও কিছু হয়নি।'


আরও পড়ুন:ব্যাংককে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত নীল, তৃণার ঘরে এল নতুন সদস্য