ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: সিউড়ি হত্যাকাণ্ডে ( Suri Brutal Life Taking Incident) গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ধমহম্মদ ইমরান।  সিউড়ির চুড়িপাড়ায় বাসিন্দা সে, জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, খুনের সময় ঘটনাস্থলে বাইক নিয়ে হাজির ছিল ইমরান। তবে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত। গত শুক্রবার রাতে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয় ৩২ বছরের শেখ কুতুবউদ্দিনকে। সেই ঘটনাতেই গ্রেফতার মহম্মদ ইমরান।   


যা জানা গেল...
সিউড়ি পুলিশ গত কাল রাতে অন্যতম মূল অভিযুক্ত মহম্মদ ইমরানকে গ্রেফতার করে। তদন্তকারীদের বক্তব্য, এই মহম্মদ ইমরানই বাইক চালাচ্ছিল। তাঁর বাইকের পিছনের আসনে বসেছিল মূল অভিযুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, সিউড়ি স্টেশন লাগোয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ইমরানকে। সম্ভবত কলকাতায় পালানোর চেষ্টা করছিল সে। তার আগেই গ্রেফতার করা হয় ইমরানকে। তাকে জেরা করে মূল অভিযুক্তের নাম জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্তের নাম শেখ মুবারক। এই অভিযুক্তের খোঁজে গোটা জেলা জুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, ৩২ বছরের শেখ কুতুবউদ্দিনকে প্রথমে মারধর করা হয়। তার পর ইমরান বাইক নিয়ে বেরিয়ে গেলেও মুবারক সেখানে ছিল। সে-ই পাথর দিয়ে লাগাতার আঘাত করে যুবককে। 


কী ঘটেছিল?
গত কাল অর্থাৎ লক্ষ্মীপুজোর দিন সকালে সিউড়ি-সাঁইথিয়া বাইপাসের উপর এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের রক্তাক্ত দেহ হলে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছিল, দেহটির পাশ থেকে রক্তমাখা পাথর উদ্ধার হয়েছে। একই সঙ্গে সিসি ক্যামেরায় হাড়হিম করা খুনের ছবি ধরা পড়ে। পুলিশ জানতে পারে, নিহত যুবককে প্রথমে মারধর করা হয়েছিল। তাঁর উপর দেদার লাথি-ঘুসি চলে। এরপর মৃৃত্যু নিশ্চিত করতে ৩২ বছরের যুবকের মাথায় বার দশেক পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়। মাত্র ৩ মিনিটের 'অপারেশন' শেষ করে বাইকে চড়ে পালিয়ে যায় দুই আততায়ী। গত ৬ মাসে সিউড়িতে প্রকাশ্যে ব্যাঙ্ক ডাকাতি এবং একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এবার খুন। যে শহরে জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের বাস, সেখানকার নিরাপত্তার এই কী হাল? গত কালকের ঘটনার পর প্রশ্ন তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার পরই এদিনের গ্রেফতারি। কিন্তু মূল অভিযুক্তকে এখনও কেন গ্রেফতার করা গেল না? কোথায় সে? জানতে চান স্থানীয়রা।


 


আরও পড়ুন:হেমন্তের পরশে তাপমাত্রা কমবে বীরভূমে, ছুটির দিনে কেমন থাকবে আবহাওয়া?