ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বিষ্ণুখণ্ডা: তৃণমূলের আদি-নব্যের সংঘর্ষে (Parui TMC Infight) রণক্ষেত্র পাড়ুই। অভিযোগ, গ্রাম দখলের চেষ্টায় তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বিষ্ণুখণ্ডা গ্রামে ২ গোষ্ঠীর লড়াইয়ে ব্যাপক বোমাবাজি হয়েছে বলেও অভিযোগ। ২ পক্ষের সংঘর্ষে শিশু-সহ জখমের সংখ্য়া মোট ৫। জখমরা আপাতত বোলপুর হাসপাতালে ভর্তি। প্রাথমিক ভাবে যা জানা যাচ্ছে, তাতে এলাকা দখলের চেষ্টায় বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। লুঠপাটের অভিযোগও রয়েছে। গ্রামে পুলিশি টহল চলছে। ৪জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে বলে খবর। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, এটি গ্রাম্য বিবাদ। দলের কোনও যোগ নেই। অন্য দিকে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার দাবি, এই ভোটের পর গ্রামের দখল কাদের হাতে থাকবে তাই নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।


কী জানা গেল?
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কিছু বিজেপি কর্মী লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ভোট শেষ হতেই এই গ্রাম দখলের চেষ্টা করেন তাঁরা, এমনও জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। বেশ কয়েক দিন ধরে এই নিয়ে গ্রামে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শোনা যাচ্ছে, পুরনো তৃণমূল কর্মীরা এ জন্য নতুন তৃণমূল কর্মীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এই ঘটনা ঘিরে আজ তেতে ওঠে বিষ্ণুখণ্ডা গ্রাম। এদিন তৃণমূলের ভাল পারফরম্যান্স উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠান করেছিলেন পুরনো তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, সেখানেই চড়াও হন নব্য তৃণমূল সদস্যরা। ব্যাপক বোমাবাজি, লাঠি দিয়ে আক্রমণও করা হয়। জখমদের একটি ছোট মেয়েও রয়েছে বলে খবর। তার শরীরে বোমার আঘাত লেগেছে বলে খবর। বিশাল পুলিশ বাহিনী গ্রামে এসেছে। এখনও তল্লাশি চলছে গ্রামে। এই গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যেরও অভিযোগ, বিজেপি থেকে সদ্য দলে আসা কর্মীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে স্থানীয় নেতৃত্ব। তারই জের এই অশান্তি, অভিযোগ গ্রামবাসীদের। 


গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ বার বার...
ভোটের ফলপ্রকাশের পরে একাধিক বার জল্পনার কেন্দ্রে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। খাস কলকাতার কসবায় যেমন দুই তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদ বাধে। তাতে দফায় দফায় তেতে উঠেছিল ওই এলাকা। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন মোট ১৪ জন।  ধৃতদের মধ্যে রয়েছে মূল অভিযুক্ত দীনু যাদবও। প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, পাড়া দখলকে কেন্দ্র করে কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্না ও ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীদের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়েছিল। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়। তবে লিপিকা বলেছিলেন, "আমার লোক, তাঁর লোক, এবিষয়ে কিছু বলতে পারব না। কে কার হয়ে কাজ করে সবাই জানে। নতুন কোনও বিতর্ক চাই না। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব গোটা বিষয়টি দেখছে। কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ।


আরও পড়ুন:উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়, কিন্তু সপ্তাহান্তেও গরমে হাঁসফাঁস বীরভূম!