আবীর ইসলাম, বীরভূম : পড়ুয়া বিক্ষোভের মধ্যেই বিশ্বভারতীতে এবার ইস্তফা দিলেন ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। গতকাল রাতে ৩০ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হন পদত্যাগী রেজিস্ট্রার, ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক সহ কয়েকজন অধ্যাপক। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, পরীক্ষা বয়কট চলছে, চলবে।


বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ চলছেই। এরই মধ্যে এবার পদত্যাগ করলেন ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক। তাঁর আগে মঙ্গলবার পদ থেকে ইস্তফা দেন রেজিস্ট্রার। এই দু’জনেই আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের ম্যারাথন ঘেরাওয়ে আটকে ছিলেন। 

সোমবার বিকেল ৪টে থেকে বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনে আটকে থাকার পর, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ৩০ ঘণ্টা ঘেরাও হয়ে থাকার পর বিশ্বভারতীর আধিকারিক ও অধ্যাপকরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। অধ্যাপক ও আধিকারিকরা ঘেরাওমুক্ত হলেও, পরীক্ষা বয়কট চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। টানাপোড়েনের মধ্যেই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান অতীগ ঘোষ। তিনি বলেন, ' আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। আমরা বেরোচ্ছি। গতকাল ৪টে থেকে আটকেছিলাম। যাই, খুবই ক্লান্ত। ' 


বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী পড়ুয়া শুভ নাথের অভিযোগ, ' উপাচার্য মিথ্যুক লোক। স্বৈরাচারী। আমাদের আন্দোলন চলবে। শুধুমাত্র পরীক্ষাটা বয়কট হচ্ছে। বাকি পঠনপাঠন স্বাভাবিক ভাবেই হচ্ছে'এ


এত কাণ্ডের মধ্যে অশান্তিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে আরও একটি ঘটনা। বাংলাদেশ ভবনে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে লুকিয়ে, ছাত্রীদের বিক্ষোভের ভিডিও মোবাইলে রেকর্ড করার অভিযোগ ওঠে। বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা ধাওয়া করে তাঁকে ধরে ফেলেন। শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ এসে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে। 


 ১১ মার্চ থেকে বিভিন্ন বিভাগে শুরু হয়েছে পরীক্ষা। পড়ুয়াদের একাংশ যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, পরীক্ষা থেকে বিরত রয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতেই জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভের জন্য পরীক্ষার্থীরা কোনও পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে, সেই বিষয়ে তাঁকে অকৃতকার্য হিসেবে ধরা হবে। পরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আর মিলবে না। তবে অন্য কোনও কারণে পরীক্ষা দিতে না পারলে, সেক্ষেত্রে আগের নিয়মেই পরীক্ষা দেওয়া যাবে।