রামপুরহাট:  বগটুইয়ে (Bogtui ) তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের (Bhadu Shekh ) খুনের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল শেরা শেখ, সঞ্জু শেখ ও রাজা শেখ নামে ওই তিনজন।


মঙ্গলবার মালদা, রামপুরহাট (Rampurhat) ও ঝাড়গ্রাম সীমানা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে বীরভূম জেলা পুলিশ। 


ভাদু শেখ (Bhadu Sheikh) । একসময় যিনি মুরগির গাড়ি আর অ্যাম্বুল্যান্স চালাতেন। তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের খুনের পর, তাঁর বাড়ির কয়েকটি অংশের ছবি দেখে প্রশ্ন উঠেছে, ভাদু শেখের মনে কি মৃত্যুভয় চেপে বসেছিল? তিনি কি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন ? ভাদু শেখের বাড়ির সামনে রয়েছে একটা-দু’টো নয়, সাতটা সিসিটিভি ক্যামেরা। ভাদু শেখ থাকতেন বাড়ির তিনতলার ঘরে। ভেঙেচুরে সেই অংশটা নতুন করে নির্মাণ করেছিলেন তিনি। ঘরে গিয়ে দেখা গেছে, বাইরের দিকে কোনও জানলা নেই! কিন্তু, বাইরে দিকে জানলা কেন ছিল না ঘরের? কীসের ভয়? নিহত তৃণমূল নেতার পরিবার সূত্রে দাবি,  ভাদুর যাবতীয় কারবারে তাঁর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দাদা বাবর। তাঁদের অবস্থা রাতারাতি ফুলেফেঁপে ওঠার মধ্যেই গতবছর বাবর খুন হয়ে যান। বগটুইতেই চারটে গুলি করে বাবরকে খুন করা হয়। 

আরও পড়ুন 


জেনে নিন এই মুহূর্তের গুরুত্বপূর্ণ খবর এক ক্লিকেই


তারপর থেকেই ভাদুর মনে ভয় চেপে বসেছিল।  সূত্রের খবর, ভাদু নিজের জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করেছিলেন। সঙ্গী ছাড়া কোথাও বিশেষ বেরোতেন না। তবে রোজ বিকেলে জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে আড্ডা দিতে যাওয়া ছিল মাস্ট! ২১ মার্চ যেখানে তিনি খুন হন। ,সেই প্রসঙ্গেও সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! সূত্রের দাবি, সেদিন বিকেলে ভাদুর মোবাইলে একটা ফোন আসে। আর সঙ্গে সঙ্গে কথা বলতে ভাদু নিজের নিরাপত্তার ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসেন। 
একটু দূরে স্কুটারের ওপর বসে তিনি ফোনে কথা বলছিলেন। তখনই আততায়ীরা খুব কাছ থেকে তাঁর মাথা লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। 


এখানেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, মৃত্যুর আগের মুহূর্তে ভাদুকে কে ফোন করেছিল? তাঁকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ থেকে বার করে আনতেই কি ফোন করা হয়েছিল? রহস্য ভেদ করতে পারবেন তদন্তকারীরা?