রামপুরহাট : রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে (Rampurhat Violence) নিহত ৭ জনের দেহের DNA পরীক্ষা করাবে CBI। ২১ মার্চ রাতে রামপুরহাটের বগটুইতে (Bogtui) সোনা শেখের বাড়ি থেকে ৭ জনের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের দেহ শনাক্ত করতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সেই কারণেই DNA পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের সময়ে DNA-র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে সেই নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। তারপরই নমুনা দিল্লির ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে বলে CBI সূত্রে খবর।


আরও পড়ুন ; ভাদু-খুনের পর কারা এসেছিলেন হাসপাতালে ? রামপুরহাট মেডিক্যালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ সিবিআইয়ের


কোন পথে সিবিআই তদন্ত ?


রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তিন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজে। সেই ফুটেজগুলোই এখন মিলিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তিন জায়গায় একই ব্যক্তিদের দেখা গেলে, বিষয়টা অনেকখানি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।


রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে (Rampurhat Violence) অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে গতকালই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) সংগ্রহ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গত ২১ মার্চ ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর তাঁর দেহ আনা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেই সময় তাঁর একশোর বেশি অনুগামী হাসপাতালে ভিড় করেছিলেন। কারা এসেছিলেন হাসপাতালে? তাঁদের কেউ বগটুই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কি না, তা জানতে ২১ মার্চ সন্ধে থেকে ২২ মার্চ সন্ধে পর্যন্ত হাসপাতালের ২৬টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গত পরশু সংগ্রহ করে নিয়ে যান সিবিআইয়ের অফিসাররা।


এই ফুটেজ এর আগে সংগ্রহ করেছিল সিট। অভিযোগ, সিটের থেকে সেই ফুটেজ পায়নি সিবিআই।  এবার তারা নিজেরাই সংগ্রহ করে ফুটেজ।


রামপুরহাটে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় আরও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ঘটনার রাতে, ৮টা ২৮ নাগাদ ঘটনাস্থলে ২ টি বাইকে ৪ জন আসে। তাদের দুজনের মাথায় ছিল হেলমেট। সিবিআই সূত্রে দাবি, ভাদু শেখের মাথায় ১টি বোমা ছোড়া হয়। বাকি তিনটি বোমা ছোড়া হয় আশপাশে। এরপর বাইকে চারজন চম্পট দেয়। সেই সময় ভাদু শেখ একাই ছিলেন বলে সূত্রের দাবি। 


তবে, বগটুই গ্রামে লালন শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও সিসিটিভির হার্ডডিস্ক পায়নি সিবিআই। ঘটনার রাতে ফটিক শেখের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। তার সবথেকে কাছের, লালন শেখের বাড়িতে ছিল সিসি ক্যামেরা।


কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই আগে ওই এলাকার যে সব সিসিটিভি ফুটেজ মিলেছে, তা কিছুটা দূরের। গতকাল লালনের বাড়িতে তালা ভেঙে ঢুকলেও সিসিটিভি ফুটেজ পায়নি সিবিআই। কারণ, হার্ডডিস্ক উধাও। তদন্তকারীদের সন্দেহ, আগেই লালনের বাড়ির কেউ হার্ড ডিস্ক নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।