আবির দত্ত, অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও পার্থপ্রতিম ঘোষ: ভাদু শেখের (Bhadu Sheikh Murder) খুনের ঘটনায় এখনও অধরা অন্যতম অভিযুক্ত সোনা শেখ এবং পলাশ শেখ। ভাদু শেখের দাদা এবং এক সহযোগী খুনের ঘটনাতেও এই দু’জনের নাম জড়ায়। তাঁদের খোঁজ মিললে, এই ঘটনার তদন্ত কয়েক ধাপ এগোবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ভাদু শেখের খুনের তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।


ভাদু খুন এবং অগ্নিসংযোগের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজছে সিবিআই


রামপুরহাটে আগুন (Rampurhat Violence) লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় তদন্ত করছে সিবিআই। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের খুনের তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ। এই দুই ঘটনার মধ্যে কী কোনও যোগ আছে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। পুলিশ সূত্রে দাবি, ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় মোট দশজন জড়িত। ভাদুকে ডেকে পাঠানো, বোমা মারা থেকে সবটা করেছিল এই দশজনই। এই খুনের ঘটনার তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, বগটুই (Bogtui Violence) মোড়ের CCTV ক্যামেরার ফুটেজ। ওই CCTV ক্যামেরার ফুটেজ থেকেই ভাদু শেখ খুনে যুক্ত চার-পাঁচ জনের ছবি পাওয়া গেছে। ওই ফুটেজকে হাতিয়ার করেই, তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে CID সূত্রে খবর। এই ঘটনায় অন্যতম দুই অভিযুক্ত সোনা শেখ এবং পলাশ শেখের এখনও খোঁজ মেলেনি এর মধ্যে ভাদু শেখের খুনের পর, সোনা শেখের বাড়িতেই ঘটেছিল সবথেকে মারাত্মক অগ্নিকাণ্ড। সেখান থেকে উদ্ধার হয় সাতজনের পোড়া মৃতদেহ। 


আরও পড়ুন: Dev on Rampurhat Violence: ক্ষমতার নেশায় এমন যাতে না হয়ে যায়, যাতে মানুষ মানুষকেই চিনতে পারল না, মন্তব্য দেবের


স্থানীয় সূত্রে দাবি, সোনা শেখ, পলাশ শেখ এবং ভাদু শেখ একসময়ে একসঙ্গে তোলাবাজির কারবার চালাতেন। গতবছর জানুয়ারি মাসে ভাদু শেখের দাদা বাবর শেখ খুন হয়ে যান। মাস ছয়েকের মধ্যে খুন হন ভাদুর আরেক সহযোগী বাপি মণ্ডল। সেই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে সোনা ও পলাশের দিকে। দু’জনই গ্রেফতার হয়। 


ভাদুর দাদার খুনের নেপথ্যেও সোনা-পলাশ!


সূত্রের দাবি, তখনই ভাদু জানতে পারেন, তাঁর দাদার খুনের নেপথ্যেও এই দু’জনেরই হাত রয়েছে। এরপর থেকেই ভাদুর সঙ্গে সোনা ও পলাশের সম্পর্কের অবনতি হয়। অভিযোগ, ভাদুর দাপটে দীর্ঘদিন বগটুই গ্রামে ঢুকতে পারেননি সোনা ও পলাশ। 


এরপরই ২১ মার্চ খুন হন ভাদু শেখ। তারপরই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় সোনা শেখের বাড়িতে। সোনা ও পলাশ এখন অধরা। জেরা করলে জট কাটবে মনে করছেন গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও, তাঁদের নাম এফআইআর-এ নেই। বৃহস্নপতিবার বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে।