অনির্বাণ বিশ্বাস, বীরভূম: রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্যরাজনীতি। শাসকদলের সমালোচনায় মুখর বিরোধী দল। এবার ওই ঘটনায় মুখ খুললেন নাট্যকার ও অভিনেতা কৌশিক সেন। বখরা ও দখলদারির কারণেই এমন ঘটনা বলে মন্তব্য করেন তিনি। দখলদারির বিষয়টি অসুখের মতো ছড়াচ্ছে বলে তাঁর মত। তবে বীরভূমের মতো জেলায় বিষয়টি নতুন নয়। বহুদিন ধরেই বীরভূমে এমন পরিস্থিতি চলছে বলে জানান তিনি। বাম আমলেও বীরভূমে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, 'বাম বা তৃণমূল, কোনও আমলেই পরিস্থিতি বদলায়নি। হিংসাকে মদত দিয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। এই পরিস্থিতির দায় অস্বীকার করতে পারে না কোনও দল।' মূলক কাজের সুযোগের অভাবেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে তাঁর মত। তিনি বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি বদলায়নি। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া রাজ্যে এমনভাবেই দখলদারি চলছে।' গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে দায় নিতে হবে বলেই তাঁর মত। তিনি বলেন, 'প্রশাসনিকভাবে না থামালে, সেটা তৃণমূলের পক্ষে খারাপ। নিজের ইমেজের স্বার্থে দ্রুত পরিস্থিতি সামলাতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।' কৌশিক সেন বলেন, 'সারা দেশে বিজেপিবিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সম্মান পুনরুদ্ধারের এটাই সেরা সময়। বিজেপি বিরোধী ইমেজ বাঁচাতে কখনও কখনও অপ্রীতিকর সিদ্ধান্ত নিতে হয়।'


রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে বারবার শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, তাঁদের কর্মীকে মেরে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিধানসভায়, এমনকি লোকসভাতেও বিষয়টি তোলা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে, একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।


রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে বেছে বেছে কয়েকটি বাড়িতেই কি আগুন লাগানো হয়েছিল? উঠেছে তেমনই প্রশ্ন। তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্য়ুর পর আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শিশু, মহিলা-সহ ৮ জন পুড়ে মারা গিয়েছে। তারপরেই আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছে ভাদু শেখের পরিবার। মঙ্গলবারই, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে জনশূন্য গ্রামে রাতেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় আটজনের। রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আহত কয়েক জনের। এরই মধ্যে এদিন হাসপাতাল থেকে এক আহত কিশোরের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে হাসপাতাল থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে খোঁজ মেলে ওই কিশোরের।  ফের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। 


আরও পড়ুন: নিহতদের পরিবারের অভিযোগ সরাসরি তৃণমূল ব্লক সভাপতির দিকে, কী বললেন সেই নেতা ?