অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ সরকার ও অনির্বাণ বিশ্বাস, বীরভূম: ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পরে ৫ দিন কেটে গেছে। এখনও আতঙ্কের অন্ধকারে ঢাকা রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। বহু বাড়িতে তালা ঝুলছে। গ্রামে পুলিশের ক্যাম্প বসলেও, সাহস করে বাড়ি ফিরতে পারছেন না অনেকে। আজ সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের আর্থিক সাহায্যের চেক দিয়ে আসেন রামপুরহাটের বিডিও।


রামপুরহাট কাণ্ডে তদন্তে সিবিআই: শনিবার রামপুরহাটের বগটুইতে গিয়ে, তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। অন্যদিকে, আগুনে যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এদিন তাঁদের হাতে আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দিল রাজ্য প্রশাসন। শনিবার সাঁইথিয়ায় বাতাসপুরে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে সরকারি সাহায্যের চেক তুলে দেয় প্রশাসন। ১০ জনের হাতে মোট ২০ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন রামপুরহাটের বিডিও। দেওয়া হয় ত্রাণ সামগ্রীও। রামপুরহাটের বিডিও সুবীরকুমার দে বলেন,  “চাল, ডাল বেবিফুড, অন্যান্য সামগ্রী আছে, গ্রামে কাউকে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না।এখানে এসে দিয়ে গেলাম। ’’


বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে গিয়ে, স্বজনহারা পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্য দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসন সূত্রের খবর, স্বজনহারাদের মধ্যে বানিরুল শেখ ও মিহিলাল শেখ ২টি করে চেক পেয়েছেন। ৫ লক্ষ টাকার চেক পেয়েছেন সোনা শেখ, ফটিক শেখ এবং বাসাপাড়ার নুরুল কাজি। মৃত নুরনেহার বিবির পরিবারের সদস্য হিসেবে,  নেকলাল, শেখলাল, বানিরুল, মোবিনা ও মিহিলাল শেখকে আৰ্থিক সাহায্য ভাগ করে দেওয়া হয় বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।


বগটুইয়ের স্বজনহারাদের মধ্যে সরকারি চাকরির আবেদন জানিয়েছেন, মিহিলাল শেখ ও তাঁর মেয়ে পলি বিবি, বানিরুল শেখের ছেলে কিরণ ও মেয়ে মিলি। সোনা শেখের ছেলে আসাদুলও চাকরির জন্য আবেদন জানিয়েছেন। বগটুই গ্রামে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ৮ জনের মৃত্যুর ৫ দিন পরেও থমথমে বগটুই। গ্রাম শুনশান, গ্রামে একের পর এক বাড়ি তালাবন্ধ। গ্রামে একটা অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে, ইএফআর মোতায়েন। গ্রাম খালি। এদিন সাঁইথিয়ায় আশ্রয় নেওয়া আক্রান্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলতে যান, রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী।


আরও পড়ুন: CBI Investigation in Rampurhat Violence : রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের তদন্তে 3D লেজার স্ক্যানিংয়ের ব্যবহার সিবিআইয়ের, কী এই প্রযুক্তি?