বীরভূম : মঙ্গলবার । দেশব্যাপী রথযাত্রা উৎসব। রীতি মেনে পূজিত হবেন জগন্নাথ - বলরাম - সুভদ্রা।  


 তারা মায়ের রথে চড়ে ঘোরা


রথযাত্রার দিন তারাপীঠে তারা মায়ের বিশেষ পুজোর আয়োজন হয় রথযাত্রার দিনে । এদিন মা তারাকে রথে নিয়ে এলাকায় ঘোরানো হয়। বছরে শুধুমাত্র এই দিনটিতেই গর্ভগৃহ থেকে বাইরে বের করে আনা হয় মায়ের বিগ্রহ। রথে করে ঘোরানো হয় তারামাকে। 


এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজো-অর্চণা। অন্ন, ৫ রকমের ভাজা, মাছ ও অন্যান্য পদ সহকারে ভোগ নিবেদন করা হয় মা তারাকে। তারাপীঠে রথের দিনই তারা মার বিগ্রহ রথে ঘুরিয়ে সন্ধেয় ফের গর্ভগৃহে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখানে হয় সন্ধ্যারতি। এরপর ভোগে জিলিপি দেওয়া হয়। 


কীভাবে প্রচলন তারা মায়ের রথযাত্রার 


কবে থেকে এই রথযাত্রার প্রচলন, তা নিয়ে অনেক মতামত রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েত প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বইয়ের সূত্রে জানা যায়,প্রখ্যাত সাধক দ্বিতীয় আনন্দনাথ এই রথযাত্রার প্রচলন করেছিলেন।
সেই সময় একটি পিতলের রথ তৈরি করা হয়। কিংবদন্তী, সেই রথে আজও মা তারাকে চড়ানো হয়। মন্দির চত্বরেই আছে সেই রথঘর। জানা যায়, রথঘরের পিছন দিকে রয়েছে শ্মশান। সেখানে রয়েছে দেবদারু গাছ। তার একটি পাতা রথসজ্জায় ব্যবহার হবেই হবে । 


সেবায়েতদের কেউ কেউ আবার মনে করেন, তারাপীঠের রথযাত্রার সঙ্গে সাধক বামাক্ষ্যাপারও যোগসূত্র আছে। লোকমুখে কথিত, সাধক বামাক্ষ্যাপার আমলেই তারা মাকে রথে বসিয়ে, জগন্নাথ রূপে বিশেষ পুজো-অর্চনার আয়োজন করা হয়।


রথযাত্রার আচারের প্রস্তুতি চলে বেশ কয়েকদিন ধরে।  তারা মায়ের প্রতিকৃতি রথে প্রতিষ্ঠা করে বিশেষ পুজো করা হয়। এদিন রথেই উপবিষ্ট তারাকে আরতি করা হয়। রথঘর চত্বরে উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়। 


সব মিলিয়ে রথযাত্রা ঘিরে তারাপীঠে উন্মাদনা থাকে চোখে পড়ার মতো।

জমজমাট পুরীও


অন্যদিকে আষাঢ়স্য শুক্লপক্ষে জমজমাট পুরী ৷  রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীতে এবারও লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়। দেশের নানা প্রান্তের মানুষের সঙ্গে ভিড় জমিয়েছেন বহু বিদেশি পযর্টক ৷  সমুদ্র-শহর আক্ষরিক অর্থেই জনসমুদ্র। সকাল থেকেই রীতিনীতি মেনে শুরু হয় পূজার্চনা। পালিত হয় নানা রীতি। দুপুরে খিচুড়ি ভোগ খেয়ে মাসির বাড়ির উদ্দেশ রওনা হন জগন্নাথ,রথে চড়ে জগন্নাথদেবের মাসির বাড়ি যাত্রা৷ সঙ্গী বলরাম, সুভদ্রা৷