আবীর ইসলাম, বীরভূম: এবার শান্তিনিকেতনে দলছুট হাতির আতঙ্ক। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থেকে অজয় পেরিয়ে আজ সকালে শান্তিনিকেতনের চিপকুটি জঙ্গলে ঢুকে পড়ে একটি হাতি। রীতিমতো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে পৌঁছন বন দফতরের কর্মীরা। হাতিটিকে বর্ধমানের দিকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে। দলছুট হাতি টি কে প্রায় ৭ ঘন্টার পর ঘুমপাড়ানি বন্দুক দিয়ে কাবু করে বনদপ্তরের কর্মীরা। উদ্ধার করে পুরুলিয়ার কুইলাপাল এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হবে হাতিটিকে ।


এদিকে পুরুলিয়ায় জঙ্গল থেকে লোকালয় ঢুকে তান্ডব চালালো বুনো হাতির একটি দল। ঘটনায় গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি ও কাচা দেওয়ালের বাড়ি ভাঙচুর করে ওই হাতির দলটি। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান এলাকার তিন পরিবার। সোমবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঘমুন্ডি ব্লকের তুন্তুরী সুইসা অঞ্চলের ঝাড়খন্ড লাগুয়া সুবর্ণরেখা নদীর তীরে অবস্থিত মারচা গ্রামে। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর তিনটে ঝাড়খন্ড পেরিয়ে মারচা গ্রামের প্রবেশ করে ৬টি বুনো হাতির একটি দল, সঙ্গে একটি হাতির শাবক রয়েছে। লোকালয়ে ঢুকে ওই দলটি প্রথমে বাড়ির সামনে থাকা সব্জি খেতে ঢুকে লাউ, শিম, বেগুন সহ বেশ কিছু ফসল খেয়ে নষ্ট করে দেয়। পরে খাবারের খোঁজে ক্ষেতের সামনে থাকা ঘরে হানা দেয় ও বাড়ি ভেঙে দেয়। কিছূ বুঝে ওঠার আগে প্রাণের ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। এরপর পাকা বাড়ির দেওয়ালের বড় দরজা ভেঙ্গে বাড়ির  মধ্য প্রবেশ করে বাড়িতে মজুত থাকা প্রচুর ধান খেয়ে নষ্ট করে দিয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসিদের।


খবর পেয়ে পরে বন বিভাগের বন কর্মী ও হুলা পার্টি ওই বুনো হাতির দলকে সুবর্ণরেখা নদী পার করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে একাধিক কাঁচা ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়া ক্ষতি মুখে পড়েছেন এলাকার চাষীরা। এলাকাবাসসী সরকারের ও বন বিভাগের কাছে ক্ষতিপূরণের আর্জি জানিয়েছেন। 


এদিকে, জলপাইগুড়ির জঙ্গলের ভিতরে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে  গিয়ে হাতির হানায় (Elephant Attack) মৃত্যু (Death) হল দুই মহিলার (Women)। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক জন। তিনি  উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে গরুমারা সাউথ রেঞ্জের অন্তর্গত জঙ্গলে। নিহত ও আহত মহিলাদের বাড়ি মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধুপঝোরার মুচি পাড়া এলাকায়।  এই ঘটনায় সমগ্ৰ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মঙ্গলবার জঙ্গলের ভিতর থেকে এক মহিলা ও বুধবার সকালে অন্য মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়।