আবীর ইসলাম, বীরভূম : গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির প্রতিবাদ  চলছে জেলায় জেলায়। পথে নেমেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। এরই মধ্যে অভিনব প্রতিবাদ অনুব্রত-গড় বীরভূমেই। 


সোনাঝুরি হাট বন্ধ 
প্রতি শনিবার করে বসে  শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাট । এই হাট আজকাল প্রায় সারা সপ্তাহই থাকে।  রবিবারও চলে হাট। বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর, তার প্রতিবাদে সোনাঝুরির হাট বন্ধ রাখার ঘোষণা করে হাট কমিটি। আগাম নোটিস না দিয়ে হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক পর্যটকই বিরক্ত ! শুধু বীরভূম নয়,  পর্যটকরা দূর--দূরান্ত থেকে আসে। কিন্তু সপ্তাহান্তের হাট বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকদের মন খারাপ।  অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতার-পর্বে মাঝেমধ্যেই সোনাঝুরি হাট বন্ধ রেখে প্রতিবাদ চলবে বলে জানিয়েছে হাট কমিটি। 


জেলায় জেলায় বিক্ষোভ 
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরেই ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের ছাত্র-যুব সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। গতকালের পর আজও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ হয়। ইডি-সিবিআই-সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির নিরপেক্ষতার দাবিতে পুরুলিয়ার আদ্রা শহরে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল করে। শহর পরিক্রমা করে কেন্দ্রীয় সরকারি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করেন তৃণমূল ও যুব তৃণমূল কর্মীরা।


অন্যদিকে, ইডি-সিবিআই কেন্দ্রীয় সরকারের ধামাধরা। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলের মিছিল। সেই মিছিল থেকে ইডি- সিবিআইকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং বস্ত্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। তৃণমূল বটগাছের মতো। ইডি-সিবিআই কিছু করতে পারবে না, দাবি মন্ত্রীর। 


ইডি-সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি। এই অভিযোগ তুলে এদিন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের হটন মোড়ে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র সদস্যরা। অবরোধের জেরে বেশ কিছুক্ষণ জিটি রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ইডি-সিবিআইয়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রানিগঞ্জের শিয়ারসোল রাজবাড়ি মোড়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূলের ছাত্র-যুব সংগঠনের কর্মীরা। মিনিট কুড়ি পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। 


সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বামনপুকুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও যুব তৃণমূল কর্মীরা। আধঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। 


অন্যদিকে, দাঁতনের হাসপাতাল মোড় থেকে সরাই বাজার পর্যন্ত আরও একটি প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। যোগ দেন তৃণমূলের ৪ বিধায়ক নারায়ণগড়ের সূর্যকান্ত অট্ট, দাঁতনের বিক্রমচন্দ্র প্রধান, কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মুর্মু ও পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি। বিক্ষোভের নেতৃত্বে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা।