আবীর ইসলাম, বীরভূম: রবি ঠাকুরের বিশ্বভারতী (Visva bharati)তো এমনই! হাতে হাত ধরে রাখাটাই দস্তুর এখানকার।
কী করেছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা?
আর সেই রীতি যে ভোলার নয়, সে কথা ফের বুঝিয়ে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বিশ্বভারতীর এক প্রাক্তন ছাত্রীর (ex-student)বাবা চিকিৎসার (treatment) জন্য অর্থ সংগ্রহে (collection)নেমে পড়লেন সকলে মিলে। গান শুনিয়ে (song)চিকিৎসার খরচ জোগাড় করলেন। তাঁদের উদ্যোগে বিহ্বল স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটক।
ঘটনাটা ঠিক কী?
বর্ধমানের গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা ঋতুপর্না রায় বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্রী। যোগাযোগের সেই সুবাদেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পড়ুয়ারা জানতে পেরেছিলেন, ঋতুপর্ণার বাবার দেশপ্রিয় রায় গত বেশ কিছু দিন ধরে দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত। চিকিৎসার খরচ প্রচুর। এদিকে ঋতুপর্ণাদের আর্থিক অবস্থা তেমন নয় যে তাঁরা চিকিৎসার খরচ অনায়াসে জোগাড় করে ফেলতে পারবেন। ফলে প্রৌঢ়ের শারীরিক ও মানসিক ভোগান্তির পাশাপাশি গোটা পরিবারকে অর্থকষ্টের মধ্যে দিয়েও যেতে হচ্ছিল। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে এগিয়ে আসনে বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ও কলাভবনের পড়ুয়ারাই। শুরু হল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীর বাবার জন্য অর্থ সংগ্রহ অভিযান। তবে অভিনব উপায়ে। কীরকম?
বিহ্বল দর্শক ও শ্রোতা...
স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শান্তিনিকেতনে আসা পর্যটক-- সকলকে গান শোনাচ্ছেন তাঁরা। রবীন্দ্র সঙ্গীত, বাউলগীতি, লোকগীতির সুরে মুখর হয়ে উঠেছিল রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতন। তিন দিন ধরে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস, খোয়াইয়ে সোনাঝুরির হাট, কোপাইয়ের তীর--সর্বত্র গানের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ অভিযান চলে পড়ুয়াদের। যা টাকা সংগ্রহ হয়েছে সব ঋতুপর্ণার হাতে তুলে দেওয়া হবে, এমনই ঠিক করেছেন তাঁরা। সঙ্গীত ও কলাভবনের ছাত্রছাত্রীরা যে ভাবে এক প্রাক্তনীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তা দেখে মুগ্ধ শান্তিনিকেতনের স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটকদের প্রত্যেকেই। কৃতজ্ঞতার শেষ নেই ঋতুপর্ণা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের।
কবিগুরুর বিশ্বভারতী মানে তো এটাই!
আরও পড়ুন:দক্ষিণবঙ্গে শুরু প্রবল বর্ষণ, দিঘার হোটেলের ভিতরে ঢুকে পড়ল জল !