কলকাতা : পয়লা বৈশাখের সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে তারাপীঠে তারা মায়ের পুজো শুরু হয়। নতুন বছরের প্রথম দিনে সকাল থেকে দলে দলে মন্দিরে আসছেন পুণ্যার্থীরা। ব্যবসায়ীরা হালখাতার পুজো দিচ্ছেন। পাশাপাশি, দূর-দূরান্ত থেকে নতুন পোশাক পরে পুজো দিতে এসেছেন অনেকেই। পয়লা বৈশাখ ও শনিবার। এই পুণ্যতিথিতে পুজো দিতে আসা মানুষের বিশ্বাস, এদিন পুজো দিলে কেউ মায়ের কাছ থেকে খালি হাতে ফেরেনে না। পূর্ণ হয় মনের সব ইচ্ছে। এই বিশ্ষ ক্ষণে জেনে নিন তারাকে নিয়ে কিছু বিশেষ তথ্য , যা ভক্তদের মুগ্ধ করে।

  



  • বীরভূম জেলার রামপুরহাট শহরের কাছেই মন্দির নগরী তারাপীঠ।  মা তারার মন্দির ও মন্দির-সংলগ্ন শ্মশানক্ষেত্রের জন্য বিখ্যাত এই সিদ্ধপীঠ ।  তারাপীঠ মহাশ্মশানে দূর দূরান্ত থেকে ভিড় করেন তন্ত্রসাধকররা। তাঁদের দেখতে ভিড় করেন ভক্তরা।

  • তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেত শিমূল গাছের নিচে বসে সাধনা করেন সাধক বামদেব। ভক্তকে নিরাশ করেননি মা তারা। দেখা দেন বামদেবকে।

  • কথিত আছে, একবার দেবীর মাতৃরূপ দর্শন চান বশিষ্ঠ মুনি ৷ দেবীও নিরাশ করেননি৷ মাতৃরূপে দর্শন দেন দেবী। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন তারামায়ের ভক্ত বামাক্ষ্যাপা। ফলে এটি সিদ্ধ পীঠ হিসেবেও পরিচিত।

  • কৌশিকী অমাবস্যায় হিন্দু তন্ত্রমতে, এই তিথিতে কঠোর তপস্যায় আশাতীত ফল মেলে। সাধক কুলকুণ্ডলিনী চক্রকে জয় করতে পারে।

  • কৌশিকী অমাবস্যায় বিশেষভাবে পূজিত হন দেবী। তন্ত্র মতে এই রাতকে 'তারা রাত্রি'ও বলা হয়৷ এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দরজা মুহূর্তের জন্য খোলে ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করেন ও সিদ্ধি লাভ করেন৷

  • কালীকে শুধুমাত্র মা তারা রূপে নয়, রাজরাজেশ্বরী, একজটা বা নীল সরস্বতী রূপেও পুজো করা হয় । কিংবদন্তী বলে, সমুদ্রমন্থনের সময়, বিষপান করে নীলকণ্ঠ হয়েছিলেন মহাদেব ৷ তাঁকে স্তন্যপান করিয়ে বিষমুক্ত করেছিলেন তারা ৷ তারাপীঠের তারা মা উগ্রতারা রূপেই পূজিত হন৷

  • এছাড়া এখানে তন্ত্র অনুসারে ব্রহ্মের সাধনা করা হয়৷ দ্বিতীয় মহাবিদ্যায় তারার রূপ কল্পনাও অপূর্ব। তিনি একজটা ও নীলসরস্বতী নামেও পূজিতা হন৷ শনিবার মা তারার মন্দিরে ভক্ত সমাগম হয় বিস্তর। দেবী মা-কে পুজো দিলে মনোকামনা পূর্ণ হয় বলে ভক্ত মনে গভীর বিশ্বাস।