কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ইডি (ED)-র পর এবার বীরভূমের (Birbhum) নলহাটিতে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর (Bibhash Adhikari) বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI)। তৃণমূল (TMC) নেতার আশ্রমেও হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বিভাস ছিলেন তৃণমূলের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি। পরে পদত্যাগ করেন।
এছাড়াও, অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন বিভাস। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ বিভাস অধিকারী। এর আগে গতবছরের অক্টোবরে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার কাছে বিভাস অধিকারীর ফ্ল্যাট সিল করে দেয় ইডি।
চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি, ফ্ল্য়াটের সিল খুলে বিভাসকে নিয়ে, তল্লাশি চালান ইডি-র অফিসাররা। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষ ও গোপাল দলপতির মুখে শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেতা বিভাস অধিকারীর নাম।
অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নজরে গোপাল দলপতি। গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই।
এদিকে, সাড়ে ২৩ ঘণ্টা পার। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার আন্দির বাড়িতে নজরবন্দি তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। সকালে বিধায়কের বাড়ি লাগোয়া জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় ৫টি ব্যাগ। আজ ভোর সোয়া ৪টে নাগাদ সিবিআইয়ের আরও একটি দল পৌঁছয় তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে। সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন বিকেল ৫টা নাগাদ নিজের দুটি মোবাইল ফোন ছুড়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ। শ্যালো পাম্প এনে রাত সাড়ে ১০টা থেকে পুকুর ছেঁচে জোড়া ফোনের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। সকালে আরও দুটি পাম্প এনে জল তোলার কাজ শুরু হয়। ফোনের হদিশ পেতে সকাল সোয়া ৮টা নাগাদ আনা হয় কমপ্যাক্ট স্ক্যান ডিভাইস। এরপর সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ পুকুরে নেমে তল্লাশি শুরু করেন পাম্প কর্মীরা। পাম্প খারাপ হয়ে যাওয়ায় পুকুরে জল তোলার কাজ আপাতত বন্ধ।
সিবিআইয়ের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বিভিন্ন জনের মুখে উঠে এসেছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম। সেই সূত্রে গতকাল বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ দুটি গাড়িতে বিধায়কের আন্দির বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের ৬ জনের দল, সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী। একইসঙ্গে রঘুনাথগঞ্জে বিধায়কের শ্বশুরবাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। শ্বশুরবাড়িতে তল্লাশি অভিযান দুপুর আড়াইটে নাগাদ শেষ হয়। অন্যদিকে, বিধায়ককে নিয়ে তাঁর বাড়ি লাগোয়া আমবাগানেও গতকাল তল্লাশি চলে।
সিবিআইয়ের দাবি, তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শুধু টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া নয়, চাকরিপ্রার্থীদের নামও সুপারিশ করতেন তিনি। বিধায়কের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগও উঠেছে।