বীরভূম: 'জল নেই, আবাস যোজনার বাড়ি নেই, মেলেনি শৌচাগার', খয়রাশোলের পর এবার মহম্মদবাজারে অসন্তোষের মুখে শতাব্দী (Satabdi Roy)। দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের অসন্তোষের মুখে তৃণমূল সাংসদ। বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা থেকেও বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ। 'জেলার উন্নয়ন বৈঠকে ৯৯ শতাংশ শৌচাগার তৈরির রিপোর্ট পেশ হয়েছে', তার পরেও কেন কাজ হয়নি, খোঁজ নেব, বললেন শতাব্দী। 


সোমবার আবার নিজের সংসদীয় এলাকায় ক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি মহম্মদবাজারে 'দিদির সুরক্ষা কবজ' কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই মহিলারা সাংসদকে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন,' কেন গ্রামের সব বাড়িতে শৌচাগার হয়নি? কেন প্রকৃত প্রাপকরা আবাস যোজনায়  বাড়ি পাননি? কেনই বা বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা ?' এমনই প্রশ্ন তুলে সরব হন গ্রামবাসীরা। সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, 'জেলার উন্নয়ন বৈঠকে ৯৯ শতাংশ শৌচাগার তৈরির রিপোর্ট রয়েছে। তারপরও কেন এখানে হয়নি ? আমি খোঁজ নেব।'


 প্রসঙ্গত, বীরভূমে এর আগেও  দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন শতাব্দী রায়। সিউড়ির কৈখি গ্রামে তাঁর গাড়ি আটকে রাস্তা, পানীয় জল নিয়ে অভিযোগ করেন এক বৃদ্ধা। পড়ে গ্রামে গেলে সেখানেও রাস্তা, নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে, আবার সিউড়ির আলুন্দা পঞ্চায়েতের জুনিদপুর গ্রামে বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীদেরই একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় খেলার মাঠ বিক্রি করে দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান, আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন, মাধ্যমিকের মধ্যে ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করলে পরীক্ষায় প্রভাব পড়তে পারে: বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু


এর আগেও জেলায় জেলায় ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন দিদির দূতেরা। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কুণাল ঘোষ, কেউই বাদ যাননি ক্ষোভ থেকে। এর আগেও এলাকার মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েন শতাব্দী। ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন দিদির দূত, তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীরা। জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে তুমুল ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয় তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে। তারপর দলীয় কর্মীর বাড়িতে খেতে বসেও না খেয়ে উঠে যাওয়া নিয়ে বাধে বিতর্ক। রামপুরহাটের বিষ্ণুপুর গ্রামে, জনসংযোগে যান তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সেখানে তাঁকে দেখেই রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। শুধু সেখানেই নয়, জানুয়ারিতে  রামপুরহাট, নলহাটির পর মহম্মদবাজারেও দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে, বীরভূমে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।