আবীর ইসলাম, বীরভূম: বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) পাঠভবনের মৃত দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের পরিবার গতকাল রাত থেকে অপেক্ষা করেও উপাচার্যের দেখা পেল না। গতকালই হস্টেল থেকে উদ্ধার হয় অসীম দাস নামে ওই ছাত্রের দেহ। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রকে। শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) থানায় পরিবার দায়ের করেছে লিখিত অভিযোগ। কী ঘটেছে তা জানার জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদালয়ের উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করতে চান মৃত ছাত্রের বাবা-মা। তাঁরা গতকাল রাত থেকে বসে উপাচার্যের বাড়ির গেটের সামনে। কিন্তু আজ সকাল পর্যন্ত উপাচার্যের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়নি। মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন বিশ্বভারতীর কয়েকজন পড়ুয়াও।
ঠিক কি ঘটনা ঘটেছিল?
গতকাল বিশ্বভারতীর ছাত্রাবাস থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র অসীম দাসের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল। এই ঘটনায় অসীম দাসের বাবা শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তাঁর ছেলে অসীম দাসকে পরিকল্পিত হত্যা করেছে। এছাড়া প্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছিলেন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। কিন্তু মৃত ছাত্রীর বাবা বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছেন সঙ্গে পরিবারের লোকজন।
এই ঘটনার পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বভারতীর একাংশ পড়ুয়া তারাও কিন্তু অবস্থান-বিক্ষোভ রয়েছেন। মৃত ছাত্রীর বাবার বক্তব্য তাঁর ছেলেকে মেরে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের যেন শাস্তি হয়। অসীমের বাবা ঘটনা সম্পর্কে বলছেন, ''কাল থেকে উপাচার্যের বাড়ির সামনে বসে আছি আমার মনের কিছু কথা আছে সেগুলো বলব। পাশাপাশি এই ঘটনা কিভাবে ঘটল সেই নিয়েও কথা বলতাম।'' একাংশ পড়ুয়ার বক্তব্য আমরা কোন বিশ্বভারতীতে পড়ছি, একটা মর্মাহত ঘটনা ঘটেছে অথচ কর্তৃপক্ষ দেখা করছে না। এই কর্তৃপক্ষকে ধিক্কার জানানো ছাড়া আর কিছু করার।
আরো পড়ুন: পুরুলিয়ায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব, বজ্রপাতে মৃত্যু ১ শিশুর