আবীর ইসলাম, বীরভূম: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva-Bharati University) বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের সংঘাত চলছেই। তিন দফা দাবিতে অনড় থেকে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, পরিস্থিতি যাচাই করে হস্টেল খোলার জন্য রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।


টিশার্টের বুকে লেখা, বিদ্যুতের বাড়লে তেজ, কমিয়ে দাও ভোল্টেজ। নীচে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা, সেভ বিশ্বভারতী। বীরভূমের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের আন্দোলনে নতুন চমক নিয়ে হাজির এই টিশার্ট। 


টিশার্টে যে বিদ্যুতের তেজের কথা বলা হয়েছে, তিনি হলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁকে একনায়ক তকমা দিয়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে তৎপর বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের একাংশ। 


বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva-Bharati University) বিক্ষোভকারী পড়ুয়া শুভ নাথের কথায়, উপাচার্য যেভাবে পুলিশ ঢুকিয়ে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নষ্ট করছে তাতে বোঝা যাচ্ছে তেজ বেড়ে গিয়েছে। ভোল্টেজ কমাতে আন্দোলনে নতুন চমক টিশার্ট। উপাচার্য বনাম বিক্ষুব্ধ পড়ুয়া। বসন্তের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী জুড়ে যেন সংঘাতের বজ্র নির্ঘোষ।


বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পাসে ঢুকে রেজিস্ট্রার ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিককে ঘেরাওমুক্ত করেছিল পুলিশ। তারপর থেকে উপাচার্যের প্রতি বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের অসন্তোষ আরও তীব্র চেহারা নিয়েছে। উপাচার্যের বিরোধিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই হয়েছে দেওয়াল লিখন। 


অবিলম্বে হস্টেল খুলতে হবে। বিশ্বভারতীর দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষা পিছোতে হবে এবং সব পরীক্ষা অনলাইনে নিতে হবে। এই তিন দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বভারতীতে আন্দোলন করছেন পড়ুয়াদের একাংশ। গত সোমবার থেকে সেন্ট্রাল লাইব্রেরি চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।


উল্লেখ্য, গতকাল রাতে ক্যাম্পাসে ঢুকল পুলিশ। চারদিন পর পুলিশি প্রহরায় দফতর থেকে বেরোলেন রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল। পুলিশের ঘেরাটোপে বেরোলেন ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষও।


শুক্রবার সকালেও বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের বাইরে দুই মহিলা-সহ ৯ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন, এই প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়ারা। 


বিশ্বভারতীর এক বিক্ষোভকারী পড়ুয়া বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দাবিতে অনড়। হস্টেল খুলতে হবে। রেজিস্ট্রার মিথ্যে অভিযোগ করছেন।’