আবির ইসলাম, বোলপুর: বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati) ছাত্র-বিক্ষোভ অব্যাহত। তার মধ্যেই ক্যাম্পাসে ঢুকল পুলিশ। চারদিন পর পুলিশি প্রহরায় দফতর থেকে বেরোলেন রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল। পুলিশের ঘেরাটোপে বেরোলেন ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষও।
বিশ্বভারতীতে ক্লাস চালু হলেও, হস্টেল না খোলায় শুরু হয়েছিল ছাত্র বিক্ষোভ। হস্টেল খোলা সহ তিনদফা দাবিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন পড়ুয়ারা। প্রথমে দফতরের মধ্যে রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করা হয়। ১ মার্চ হামাগুড়ি দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করেন রেজিস্ট্রার। পরে বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা দফতর থেকে ঘেরাও তুলে নিয়ে বাইরে জমায়েত করেন। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পুলিশ। পুলিশ যখন রেজিস্ট্রার ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিককে বের করে নিয়ে যাচ্ছে, তখন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা গো ব্ল্যাক স্লোগান দেন।
বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার বলেন, ‘দেখলেন তো বাইরে কীভাবে জমায়েত হয়ে রয়েছে। আমরা চারদিন ধরে বাইরে বেরোতে পারিনি। পুলিশ নিয়ে যেতে এসেছে বলে আমরা বেরোচ্ছি। পুলিশকে ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুন প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক
শুক্রবার সকালেও বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের বাইরে দুই মহিলা-সহ ৯ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন, এই প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়ারা।
বিশ্বভারতীর এক বিক্ষোভকারী পড়ুয়া বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দাবিতে অনড়। হস্টেল খুলতে হবে। রেজিস্ট্রার মিথ্যে অভিযোগ করছেন।’
অপর এক পড়ুয়া বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশমতো শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালাচ্ছি। আধিকারিককে আটকাইনি আমরা। কিন্তু ক্যাম্পাসে কেন পুলিশ এল?’
যদিও বীরভূমের পুলিশ সুপারের দাবি, ‘আমরা হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে লোকাল পুলিশ মোতায়েন করেছি। যাতে কর্মী, আধিকারিকরা কোনওরকম বাধা না পান, পুলিশ তা দেখবে।’
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, আন্দোলন করা গণতান্ত্রিক অধিকার, আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। তবে পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আধিকারিকের যাতায়াতের পথ অবরুদ্ধ করা যাবে না। পড়ুয়াদের দাবিদাওয়া ১০ দিনের মধ্যে আদালতে হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে।