এরশাদ আলম, সিউড়ি: নিজেদের বাড়ির দেওয়াল (Wall collapse) ভেঙে চাপা পড়ায় প্রাণ হারালেন (death) দুজন। গুরুতর জখম আরও ১। বীরভূমের (birbhum)সিউড়ি (siuri) ১ নম্বর ব্লকের নগরী গ্রাম পঞ্চায়েতের আমগাছি গ্রামের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে।
দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু
পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম রাম হাঁসদা ও শিবশম্ভু মুর্মু। রামের বয়স ৩০, শিবশম্ভুর বয়স ২৫। সিউড়ি সদর হাসপাতালে আজই ময়নাতদন্ত হবে দেহদুটির। ঘটনাস্থল ও সিউড়ি সদর হাসপাতালে অল্প পরেই পৌঁছে যায় পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বাড়িটিতে নির্মাণকাজ চলছিল। হঠাতই তার দেওয়াল ভেঙে পড়ায় চাপা পড়েন তিন জন। গুরুতর জখম তৃতীয় ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে।
মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে আগেও
রাজ্যের নানা প্রান্তে দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। গত মাসে খাস কলকাতা শহরে একটি পুরনো বাড়ির দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়েন এক পথচারী। তালতলার আঘা মেহদি স্ট্রিটের ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় জানে আলমের। পরে বাড়িটি ভেঙে দিয়ে যায় কলকাতা পুরসভা। গত বছর সেপ্টেম্বরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর লোকাল থানার পশ্চিম পাতরী গ্রামে মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে মৃত্য়ু হয় রাখাল হেমব্রম নামে এক ৩৬ বছরের যুবকের। টানা বৃষ্টির জেরে গত কয়েকদিন ধরেই জেরবার ছিলেন বাসিন্দারা। বৃষ্টির ধাক্কা সহ্য করতে না পেরেই মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে, জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। একই দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় থানার সরিষা গেড়িয়া গ্রামে প্রবল বৃষ্টির জেরে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় বছর আটান্নর অহল্যা সাঁইয়ের।
বাসিন্দাদের একাংশের ধারণা, বৃষ্টির মরসুমে এই ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি। জলের তোড়ে বিপদ আরও বাড়ে। তাতেই একটার পর একটা বিপত্তি। তবে বীরভূমের ঘটনায় ঠিক কী হয়েছিল, তা ময়নাতদন্তের পরই আরও স্পষ্ট হবে।
আরও পড়ুন:কোভিডের গ্রাসে মেডিকেল কলেজের হস্টেল ! সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ল মালদায়