আবির ইসলাম বোলপুর (বীরভূম) : বোলপুর শহরে শুরু হয়েছে পার্থেনিয়াম-নিধন। এই উদ্যোগের নেপথ্যে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ। বুধবার একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় পার্থেনিয়াম গাছ কেটে ফেলার নির্দেশ দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। বোলপুর শহরজুড়ে পার্থেনিয়ামের বাড়বাড়ন্ত। রাস্তার ধারে, ফাঁকা জমিতে যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে গাছ। জেলা সভাপতির নির্দেশ মেনে, বৃহস্পতিবারই তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে পথে নামলেন বোলপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ওমর শেখ।
অনুব্রত-র নির্দেশ
কিছুদিন আগেই অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, 'পার্থেনিয়াম গাছটাকে মারতে বলেছি, বাচ্চাদের নাকে ঢুকে যাচ্ছে,হাঁপানি রোগ হচ্ছে, প্রথম বলেছি ১০০ দিনের কাজে গাছ কেটে জড়ো করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারো।'
বিজেপির কটাক্ষ
পার্থেনিয়াম নিধন নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির। সিবিআই ডাকছে বলে হাঁপানি, কটাক্ষ বিজেপির। বোলপুরের বিজেপি শহর সভাপতি লক্ষ্মণলাল তিওয়ারি বলেছেন, 'সামনে পঞ্চায়েত ভোট, সবটাই লোক দেখানো, মানুষের মন জয় করার চেষ্টা, মানুষ এগুলোকে গাছের মতোই ছুড়ে ফেলে দেবে, অনুব্রতর হাঁপানি সিবিআইয়ের জন্য গাছের জন্য নয়।'
স্বাগত বোলপুরবাসীর
রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বোলপুরবাসী। বাসিন্দাদের বক্তব্য, 'এই গাছ সত্যিই ক্ষতিকারক, গাছ কেটে ফেলার উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা খুশি' বীরভূম জুড়ে পার্থেনিয়াম গাছ কাটা চলবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।
আরও পড়ুন- ফের অঙ্গদানের নজির রাজ্যে, সুস্থ জীবনের পথে পা বাড়াবেন ৪ জন
এদিকে, তোলা না দেওয়ায় ৪৭টি গাছ কেটে (Tree Cutting) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অশোকনগরের স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে। অশোকনগরে (Ashoknagar) এমনই অভিযোগ তোলেন এক সরকারি চিকিৎসক (Doctor)। যদিও ক্লাব (Club) কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও বন দফতরকে (Forest Department) অভিযোগ জানান চিকিৎসক। একটাও গাছ আর আস্ত নেই। কোনওটার একেবারে গোড়া থেকে কাটা হয়েছে। কোনওটি মাঝখান থেকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তোলা না দেওয়ায়, এভাবেই এক ব্যক্তির জমিতে থাকা গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে। স্থানীয় ক্লাব সদস্যরা ৪৭টি গাছ কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ জমির মালিকের।