আবীর ইসলাম, বীরভূম:   ‘হকি খেলা হবে’ (Hockey Khela Hobe) গান বাজিয়ে (Birbhum)বোলপুর পুরসভার (Bolpur Municipality) ৭নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করল তৃণমূল। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল সন্ত্রাস ছড়ানোর বার্তা দিচ্ছে, অভিযোগ বিরোধীদের।এই গানের মধ্যে উন্নয়নের বার্তা, পাল্টা জবাব শাসকদলের।


একুশের বিধানসভা ভোটের সুপারহিট স্লোগান – ‘খেলা হবে’।পরে সেই স্লোগানে বসেছে সুর। মিছিল থেকে বিয়েবাড়ি...সেই গান বেজেছে বিভিন্ন জায়গায়।এবার পুরভোটের (Municipal Election) খেলার সঙ্গে জুড়েছে হকি শব্দ। সৌজন্যে সেই অনুব্রত মণ্ডল। রাজ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতির এই সদস্যের ‘খেলা হবে’ স্লোগান ছড়িয়ে পড়েছিল সারা রাজ্যেই।


হকি খেলা হবে, এই নিয়ে এবার গান বানালেন শান্তিনিকেতনের এক বাসিন্দা। সুমিত কর নামে ওই ব্যক্তি বলেছেন, খেলা তো এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে , কেষ্ট দা বলেছে দিয়েছে খেলা হবে , এই বিষয়টাকে অনেকেই অন্যরকম ভাবে ভাবতে পারেন । কেষ্টদা ভালই বলেছেন , কারণ অনেক উন্নয়ন হচ্ছে । হকি তো ভালো খেলা ।আমার বাবাও খেলতেন , আমি চাইব, হকি খেলা আবার শুরু হোক ।


শনিবার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলে প্রার্থীর প্রচারে শোনা গেল সেই গান।


ভোট এলেই নতুন নতুন শব্দবন্ধ শোনা যায় অনুব্রত মণ্ডলের মুখে। কখনও ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে’, কখনও ‘চড়াম চড়াম ঢাক বাজানো’, কখনও ‘গুড়-বাতাসা-নকুলদানা’, আবার কখনও ‘পাচন দাওয়াই’।পুরভোটে তাঁর হকি খেলা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।  বোলপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আরএসপি প্রার্থী রঞ্জিৎ প্রামাণিক বলেছেন, এ সবে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। তৃণমূলের খেলা মানে মারধর করা। বোলপুরের বিজেপি নেতা কাঞ্চন ঘোষ বলেছেন,  হকি খেলার নামে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা শাসক দলের। এভাবে মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে।


বিরোধীদের পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসকদল। বোলপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুকান্ত হাজরা বলেছেন, আসলে খেলার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে উন্নয়ন।


পুরভোটের মুখে প্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে নানা প্যারোডি। সিপিএম ও তৃণমূল  প্যারোডির ব্যবহার করছে।এবার হকি খেলার গান বাজিয়ে প্রচার করল তৃণমূল।