মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আবীর ইসলাম, বীরভূম: রাজ্যজুড়ে সবুজ ঝড়। ১০৮ পুরসভার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১০২টি পুরসভাতে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। ১টি পুরসভা দখল করেছে সিপিআইএম। এই আবহে বামেদের নিয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গলায় শোনা গেল আলাদা সুর।
এদিন তিনি বলেন, "বিজেপি অনেক বড় বড় কথা বলেছিল। মানুষ সেই মিথ্যা কথার জবাব দিয়েছে। ২০২৩ এ পঞ্চায়েত ভোট। কেউ বিডিও অফিস ঘিরবে না, যে যার ইচ্ছে নমিনেশন ফাইল করুন। তাও প্রত্যেক পঞ্চায়েত অফিসে জয়জয়কার হবে তৃণমূলের। কারণ এই ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি আছেন সবসময়ই।
এদিকে বীরভূমে একটি আসনে জয়লাভ করেছে সিপিআইএম, তবে রাজ্যজুড়ে বিজেপির ফলাফল আশাব্যঞ্জক নয়। এ প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, "বামেরা ফাইল করতে পেরেছে নমিনেশন, কংগ্রেস ফাইল করতে পেরেছে। বিজেপি কেন পারছে না? বিজেপির কোনও লোক নেই, সংগঠন নেই। ক'টা পাতাখোর, নেশাখোর লোকেদের দিয়ে ভোট হয়না। রাজনীতি একটা সংগঠন। তবুও তো সিপিএম ভোট পেয়েছে সব জায়গায়। ওঁরা উনিশে যে ভুল করেছিল, সেটা সংশোধন করেছে। আবার কিন্তু ভোট পাচ্ছে। আমার এখানেও ভোট পেয়েছে। সিপিআইএম সবজায়গায় কিন্তু আবার মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ একটা সংগঠন আছে। সিপিআইএম দলটা নরেন্দ্র মোদির মত মিথ্যেবাদী দল নয়।"
কংগ্রেসের আসন কমা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, "মুর্শিদাবাদে ২৮টি আসনের মধ্যে ২৫টি পেয়েছে তৃণমূল। ওঁরা যেটা পেয়েছে সেটাকে পাওয়া বলে না কি? যে অধীরের দুর্দান্ত দাপট কোথায় পারল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে মানুষ সাড়া দিয়েছে।"
প্রসঙ্গত, বিরোধীশূন্য অনুব্রত মণ্ডলের গড়। বীরভূমে ৫টি পুরসভায় ৯৩টি আসনে একমাত্র রামপুরহাটে ১টি ওয়ার্ডে জয়ী সিপিএম।বাকি ৯২টি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে। রামপুরহাটের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বাম প্রার্থী সঞ্জীব মল্লিক। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ২৬৭। পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আবদুল মালিক। বর্তমানে জেল হেফাজতে বাম প্রার্থী। আজ ভোটের ফল ঘোষণার দিন জামিনে ছাড়া পাবেন তিনি। ভোটের দিন ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগে বাম প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়।