বোলপুর: একটি নয়, দু’টি নয়, ছ’-ছ’টি ওয়ার্ডে দলকে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বিরোধীশূন্য করে ফেলেছেন নিজের গড়কে (WB Municipal Elections Result)। কিন্তু পুরসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের শ্রেয় নিতে নারাজ বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ড (Anybrata Mandal)। তাঁর দাবি, দল দায়িত্ব দিয়েছিল। তাঁরা শুধু দায়িত্ব পালন করেছেন। মানুষ ভোট দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)।


বুধবার বোলপুর-সহ বীরভূমের পাঁচ পুরসভা এবং সংলগ্ন গুসকরা পুরসভায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল। জেলা সভাপতি হিসেবে এই ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল অনুব্রতর। তাই জয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে বলেন, “বীরভূম প্লাস গুসকরার দায়িত্ব ছিল আমার কাঁধে। ছ’টিতেই জয়লাভ করেছি আমরা। এটা মানুষের জয়। মানুষ উন্নয়নের স্বার্থে ভোট দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে, ওঁর  উন্নয়ন দেখে জন্য ভোট দিয়েছেন তৃণমূলকে। এখানে আমি কোনও ফ্যাক্টরই নই।”


বকেয়া পুরভোটে অনুব্রতর দায়িত্বে থাকা বোলপুর পুরসভা থেকে দিনভর অশান্তির খবর উঠে এসেছিল। এমনকি ভোটের আগে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়েও অশান্তি চরমে ওঠে। বিজেপি প্রার্থী যাতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারেন, তার জন্য অুব্রতর লোকজন তাঁকে আটকে রাখেন বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির।


আরও পড়ুন: Balurghat Municipal Poll Result 2022: সুকান্তের গড়ে সবুজ ঝড়, বালুরঘাটে জয়ী তৃণমূল


অনুব্রত যদিও সে সবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। জিততে পারবেন না বলেই বিরোধীরাই ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন বলে ভোটগ্রহণ চলাকালীনই অভিযোগ তোলেন তিনি। শুধু তাই নয়, গোটা রাজ্যে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলেও দাবি করেন। অশান্তির খবরের মধ্যেই মোটর সাইকেলে চেপে ফুরফুরে মেজাজে ভোট দিতে চান। অশান্তি অশান্তি বলে চিকার চেঁচামেচি না করে বিরোধীদের পাখা চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার নিদানবও দেন কেষ্ট।


তবে অনুব্রতর স্বরে বিনয় ঝরে পড়লেও, বীরভূমে তৃণমূলের এই জয়ের পিছনে তাঁর ভূমিকাকে চোট করে দেখতে নারাজ জেলা নেতৃত্ব থেকে কর্মী, সমর্থকেরা। এমনকি অনুব্রতর জন্যই বীরভূমে তৃণমূলের খুঁটি মজবুত  হয়েছে বলে মন্তব্য করতে শোনা যায় রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। সম্প্রতি অনুব্রতর আত্মজীবনী ‘খেলা হবে’ বইটির উদ্বোধন করতে গিয়ে ব্রাত্য জানান, অনুব্রত হলেন মমতার অত্যন্ত কাছের লোক। চাইলে প্রশাসনে বড় কোনও পদ পেতেই পারতেন। কিন্তু বীরভূমের জল-হাওয়া-আকাশের বাইরে কিছু ভাবতে পারেন না তিনি। তাই বীরভূমেই রয়ে গিয়েছেন।