কলকাতা: বসন্তের শুরুতেই চড়ছে পারদ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দখিনা বাতাসে ভর করে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। এর ফলে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর সকালের দিকে আংশিক মেঘলা থাকছে আকাশ। বেলা বাড়লেই চড়া রোদ জানান দিচ্ছে, দুয়ারে গ্রীষ্ম।
বীরভূমের ভৌগলিক অবস্থান (Birbhum Geographical Location): বীরভূম, বর্ধমান বিভাগের উত্তরতম জেলা। আকারে এই জেলা ত্রিকোণ, যার নিম্নস্থ বাহুটি তৈরি করেছে অজয় নদী (Ajay River)। বীরভূমের পশ্চিম ও উত্তর সীমান্ত বরাবর প্রসারিত ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)। পূর্বদিকে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। ভৌগোলিক বিচারে এই অঞ্চল ছোটনাগপুর মালভূমির উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। জেলাটির পশ্চিম দিকে প্রাকৃতিকভাবে পাথুরে গঠনে তৈরি হয়েছে মামা ভাগ্নে পাহাড় যা দুবরাজপুর (Dubrajpur) শহরের সন্নিকটে অবস্থিত। বীরভূমের পশ্চিমাংশ অতীতে বজ্জভূমি বা বজ্রভূমি নামে পরিচিত ছিল। জেলার পূর্বাংশ অপেক্ষাকৃত উর্বরতর। বীরভূমকে বলা হয় রাঙামাটির দেশ। এই জেলার ভূসংস্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় কিছুটা আলাদা। জেলাটির পশ্চিমাঞ্চল ছোটনাগপুর মালভূমির (Chhotanagpur) অন্তর্গত ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ একটি এলাকা। এই অঞ্চলটি পশ্চিমদিক থেকে ক্রমশ ঢালু হয়ে নেমে এসে মিশেছে পূর্বদিকের পলিগঠিত উর্বর কৃষিজমিতে।
আপেক্ষিক জলবায়ু (Birbhum Climate): বীরভূম জেলার পশ্চিমাংশের জলবায়ু (Climate) শুষ্ক ও চরম প্রকৃতির। পূর্বাংশের জলবায়ু তুলনামূলক মৃদু। গ্রীষ্মে (Summer) তাপমাত্রার পারদ ৪০º সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। শীতকালে (Winter) আবার ১০º সেলসিয়াসের নিচেও নামে পারদ। সাধারণত, মার্চের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকে উষ্ণ আবহাওয়া। জুনের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ষাকাল এবং অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত শীতল আবহাওয়া থাকে। জেলার পশ্চিমাংশের বৃষ্টিপাত পূর্বাংশের তুলনায় অধিক। বর্ষায় রাজনগর ও নানুরে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের (Annual Rainfall) পরিমাণ যথাক্রমে ১৪০৫ মিলিমিটার ও ১২১২ মিলিমিটার।
বীরভূমের আজকের আবহাওয়া (Birbhum Today Weather) : বীরভূমে আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার (Humidity) পরিমাণ ৩৩ শতাংশ।
সূর্যাস্ত (Sunrise) - সকাল ৫:৫৯
সূর্যোদয় (Sunset) - বিকেল ৫:৪৪
বঙ্গের আজকের আবহাওয়া ( West Bengal Weather): জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। যার ফলে চাষের উপরেও প্রভাব পড়েছে। তবে অগাস্টে সেই ছবি বেশ কিছুটা বদলেছে। সেপ্টেম্বরে একের পর এক নিম্নচাপ। অক্টোবরে পুজোর মধ্যেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হয়েছে শহরে। কালীপুজোও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির গোড়ায় বৃষ্টির কোনও ইঙ্গিত নেই।