Rampurhat Violence Live Updates: রামপুরহাটকাণ্ডে নলহাটির আইসি ও দুই এএসআইকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের
Rampurhat Violence: নয় নয় করে পার হয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ। রাজনৈতিক কচকচানি, সিবিআই-পুলিশের আনাগোনায়, এখনও গমগম করছে গোটা এলাকা। তার মধ্যেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে সকলকে।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই কাশ্মীরের মতো পশ্চিমবঙ্গেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভার কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে তুলে নেওয়ার দাবি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে তৃণমূলের উপপ্রধান খুনের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল চার। এর মধ্যে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তথা ধৃত সঞ্জু শেখের পিসি চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “ওই দিন দাউদাউ করে আগুন জ্বলছিল। কান্নাকাটি চলছিল ভাদু শেখের বাড়িতে। আনারুলই গ্রামে পুলিশ ঢুকতে দেয়নি। ওই সব করিয়েছে। চারদিকে বোমা ফাটছিল। আমরা প্রাণভয়ে খাটের তলায় লুকিয়েছিলাম।”
এ দিকে, বুধবারই রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে জে পি নাড্ডার (JP Nadda) কাছে রিপোর্ট পেশ করল বিজেপির (BJP) পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ, সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা ও স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ তৃণমূল সরকার। বালি, পাথর, কয়লা এবং অন্যান্য মাফিয়ার টাকা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাদের কাছে যায়। বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের রিপোর্টে উল্লেখ।
বাইরে দিকে জানলা কেন ছিল না ঘরে? মৃত্যুভয় চেপে বসেছিল ভাদু শেখের?
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে এখনও পলাতক অনেকেই। আজ তাঁদের খোঁজে বগটুই গ্রামের পাঁচ জায়গায় তল্লাশি চালালেন CBI’র গোয়েন্দার। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি, এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান রেকর্ড করে CBI।
আজ খয়রাশোল থানার সারিবাগান বটতলা এলাকায় ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রাখা প্রায় ৩৫ টি বোমা উদ্ধার করল খয়রাশোল থানার পুলিশ। এদিন সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি জারিকেন ও একটি বালতিতে প্রায় ৩৫ টি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। বোমা গুলিকে ঘিরে রাখা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। বোম্ব স্কোয়ার্ড এসে পরে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে।
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) নিজে তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও নিজেকে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেছেন আনারুল হোসেন (Anarul Hossain)। কিন্তু এ বার তাঁর বিপত্তি আরও বাড়ালেন ভাদু শেখ খুনে (Bhadu Sheikh Murder) ধৃতদের মধ্যে এক জনের আত্মীয়া। তাঁর অভিযোগ, দাউ দাউ করে পর পর বাড়িগুলি (Rampurhat Bogtui Arson) জ্বলতে থাকলেও, গ্রামে পুলিশকে ঢুকতে দেননি আনারুলই। ওই দিন ভাদু খুন হওয়ার পরেও চারিদিকে বোমা ফাটছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন শেরা শেখ, সঞ্জু শেখ, এবং রাজা শেখ নামের তিন দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার, এই তিন জনকে গ্রেফতার করে বীরভূম জেলা পুলিশ। এই চার জনকে বোমা ছুড়তে দেখা গেছিল। যদিও ধরা পড়ার পর সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার উদ্দেশে তাঁরা বলেন, “আমরা নির্দোষ”।
রামপুরহাটকাণ্ডে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে আজ রিপোর্ট জমা দিল দলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেখানে ঘটনার সঙ্গে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যোগ থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, অনুব্রতকে গ্রেফতারের জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে।
রাজ্যপালের তলবে রাজভবনে মুখ্যসচিব, অর্থসচিব
বগটুইকাণ্ডে স্ত্রী, মেয়ে, মা, বোনকে হারিয়ে সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন মিহিলাল শেখ। এবার গেলেন বগটুইয়ের পাশের গ্রাম কুমাড্ডায়। সেখানে আরেক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি । সেখানে তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন রামপুরহাটের এসডিপিও।
রামপুরহাটকাণ্ডে সিবিআই ক্যাম্পে নলহাটি থানার আইসি। নলহাটির আইসি মনোজ সিংহকে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ। রামপুরহাট থানার দুই এএসআই-কেও জিজ্ঞাসাবাদ। এএসআই সত্যেন্দ্রনাথ সাহা ও রঞ্জন দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের। নজরে দমকল আধিকারিক ও পুলিশের নিচুতলার কর্মীরা: সূত্র
আজ বগটুইয়ে যায় ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রতিনিধি দল। মানবাধিকার সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দলও যায় বগটুই গ্রামে। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে।
সোম-মঙ্গলের পর বুধবারও পাহাড়ে জনসংযোগে জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee) । মহাকাল মন্দিরে (Mahakal Temple) পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মাঝেই পথ চলতি মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ সেরে নেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন ভিন রাজ্যের পর্যটকদের সঙ্গে। শৈলশহরে বুধবারও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল রামপুরহাট প্রসঙ্গ। এই বিষয়ে বিজেপিকে কড়া আক্রমন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করলেন, ‘রামপুরহাটকাণ্ডের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে রাজ্যের তরফে। ’
রামপুরহাটের বগটুইয়ে তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এ নিয়ে ভাদু খুনে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪। ধৃতদের ১০দিনের পুলিশ হেফাজত।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে জে পি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট পেশ করল বিজেপির ৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ, সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা ও স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ তৃণমূল সরকার। বালি, পাথর, কয়লা এবং অন্যান্য মাফিয়াদের টাকা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাদের কাছে যায়। বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের রিপোর্টে উল্লেখ।
রামপুরহাটকাণ্ডে আরও এক এএসআইকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের।
জ্বালানির জ্বালা বাড়ানোর জন্য মোদি সরকারকে দুষেছে কংগ্রেস। জ্বালানির দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে, দেশজুড়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে কংগ্রেস।
৩১ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যে ‘মেহঙ্গাই মুক্ত ভারত’ অভিযানের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।
পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে তৃণমূল বিধায়কের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্টে একাধিক অভিযোগ। বালি, পাথর, কয়লা এবং অন্যান্য মাফিয়াদের টাকা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাদের কাছে যায়। বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের রিপোর্টে উল্লেখ।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্টে একাধিক অভিযোগ। বালি, পাথর, কয়লা এবং অন্যান্য মাফিয়াদের টাকা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাদের কাছে যায়। বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের রিপোর্টে উল্লেখ।
রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে ফের তরজা। একাধিক অভিযোগ তুলে বিজেপি নিশানা মমতার। পাল্টা কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।
সিবিআই তদন্তের আগে কীভাবে রিপোর্ট দিল বিজেপি? রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থের চেষ্টা বিজেপির। অভিযোগ মমতার।
মৌলিক অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ রাজ্য সরকার। অবনতি হয়েছে বাংলার আইনশৃঙ্খলার। রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে রাজ্যকে নিশানা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
জেপি নাড্ডাকে দেওয়া বিজেপির প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট তদন্তকে প্রভাবিত করবে: মমতা
রামপুরহাটকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইকে সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গ সফরে বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা রামপুরহাটে যাওয়া বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দ
লের।
ভাদু শেখ খুনে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল চার।
এদিন পুলিশি পাহারায় বাতাসপুর ছাড়ে মিহিলালের পরিবার। ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন স্বজনহারা মিহিলাল শেখ।
বগটুইয়ের পাশে কুমাড্ডা গ্রামে এল মিহিলালের পরিবার। এতদিন ছিলেন সাইঁথিয়ায় আত্মীয়ের বাড়ি। বগটুইকাণ্ডে আগুনে পুড়ে মৃত্যু মিহিলালের মেয়ে, মা, বোন ও স্ত্রীর। তারপর থেকেই গ্রামছাড়া পরিবার।
তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনে এখনও অধরা তিন দৃষ্কৃতী।
সাঁইথিয়া থেকে অন্য গ্রামে যাচ্ছে মিহিলাল শেখের পরিবার। বগটুইয়ের বাড়ি আগুনে পুড়ে গিয়েছে। নতুন বাড়ি না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই থাকতে হবে তাঁদের।
ভাদু শেখ খুনের অভিযোগে তিনজন গ্রেফতার। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই পাকড়াও। আজই তোলা হবে রামপুরহাট আদালতে।
সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে আত্মীয়ের বাড়ি ছেড়ে ফের বগটুই গ্রামে ফিরছে মিহিলাল শেখের পরিবার।
বগটুই গ্রামের পাঁচটি আলাদা আলাদা জায়গায় তল্লাশি। অভিযুক্তদের বাড়ি গিয়ে চলছে তল্লাশি।
বুধবারও তল্লাশি সিবিআইয়ের। পলাতকদের খোঁজে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
রামপুরহাটের ঘটনাস্থলে গিয়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল। সকালে জেপি নাড্ডার কাছে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
ঘটনার দিন দমকলের যে আধিকারিক ও কর্মীরা বগটুইয়ে প্রথম পৌঁছেছিলেন তাঁদের উপরেও নজর সিবিআইয়ের।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের নজরে দমকল আধিকারিক ও পুলিশের নীচুতলার কর্মীরা। যাঁরা সেদিন সবথেকে আগে বগটুই গ্রামে পৌঁছন। সূত্রের খবর, তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কী দেখেছিলেন, কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা জানতে চাওয়া হবে। দমকল আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীদের বয়ান রেকর্ড করবে সিবিআই। খবর সূত্রের।
আগে থেকেই নিজের জীবন নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন ভাদু শেখ। দাদার মৃত্যুর পর নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ। জানিয়েছে ভাদুর পরিবার।
রামপুরহাটের বগটুইয়ে তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার পুলিশের।
মঙ্গলবারই টানা কয়েকঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এসআই-কে। একইদিনে মিহিলাল শেখকেও টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
এক সপ্তাহ কেটেছে। এখনও আতঙ্কের পরিবেশ বগটুই গ্রামে। ঘটনার পর থেকেই ভয়ে সিঁটিয়ে গোটা গ্রাম।
প্রেক্ষাপট
নান্টু পাল, বীরভূম: নয় নয় করে পার হয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ। ঢের আগেই নিভে গিয়েছে দাউদাউ (Rampurhat Fire) করে জ্বলতে থাকা আগুন। কিন্তু জতুগৃহের উত্তাপ এখনও ভালই বোধ হচ্ছে সর্বত্র। রাজনৈতিক কচকচানি, সিবিআই-পুলিশের আনাগোনায়, এখনও গমগম করছে গোটা এলাকা। তার মধ্যেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে সকলকে। ঘরছাড়ারা এখনও গ্রামে ফেরার সাহস পাচ্ছেন না। আবার গ্রামে যাঁরা রয়েছেন, বাড়ির বাইরে পা রাখার সাহস জুটিয়ে উঠতে পারছেন না তাঁরাও।
এখনও গ্রামছাড়া বহু মানুষ
বীরভূমের (Birbhum Violence) রামপুরহাটের বগটুইয়ের ওই ঘটনার আঁচ বিধানসভা থেকে দিল্লির সংসদেও পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু আতঙ্কে এখনও গ্রামে ফিরতে পারেননি বহু মানুষ। তাই পূর্বপাড়া গ্রামে পা রাখলেও চোখে পড়ে, সারি সারি বাড়িতে তালা ঝুলছে। তাড়াহুড়ো করে কোনও রকমে বেরিয়ে পড়তে গিয়ে যে মাথা কাজ করেনি, তা বোঝা যাচ্ছে, জানলার দিকে তাকালেই।
কারণ প্রাণের ভয়ে ঘরছাড়া বহু মানুষ, দরজায় একটি তালা ঝুলিয়ে দিলে, নেভাতে ভুলে গিয়েছেন ঘরের আলো।তাই এ মাথা থেকে ও মাথা, গ্রামের একটি বড় অংশ শুনশান হয়ে গেলেও, অন্ধকার ফুঁডে় কিছু বাড়ির জানলা দিয়ে বেরিয়ে আসছে আলোর আভা। আদালত সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার তুলে দিলেও, গ্রামে এখনও মোতায়েন রয়েছে পুলিশবাহিনী। জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে সিসিটিভি।
রাতে ঘরে থাকছেন না বহু গ্রামবাসী
কিন্তু এত কিছুর পরেও গ্রামে ফিরতে ভরসা পাচ্ছেন না বহু মানুষ। সেই রাতে জতুগৃহের (Bogtui Arson) দৃশ্য এখনও চোখের সামনে ভেসে উঠছে তাঁদের। তাই ভিটেমাটির মায়া টানলেও, আবেগ সামলে নিচ্ছেন তাঁরা। রাজ্য সরকার আশ্বস্ত করলেও, বাড়ি ফেরার সাহস পাচ্ছেন না কেউ। তাঁদের আশঙ্কা, থানা-পুলিশ যাই হোক না কেন, গ্রামে ফিরলে ফের যে অশান্তি বাঁধবে না, তার সুনিশ্চিত করবে কে?
আবার ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে একাংশ যদিও বা নিরাপদ বোধ করছেন, গ্রামে এখনও রয়ে গিয়েছেন যাঁরা, আতঙ্কে প্রহর গুনছেন তাঁরা। আগামী দিনে আদৌ গ্রামে থাকা চলবে কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে কানাঘুষো। প্রয়োজনীয় কাজ মেটাতে কেউ কেউ দিনের বেলায় যাও বা বাড়ির বাইরে পা রাখছেন, সন্ধ্যা নামার আগে খিল তুলে দিচ্ছেন দরজায়। অনেকে আবার সন্ধ্যা নামার আগেই তল্পিতল্পা নিয়ে অন্যত্র পাড়ি দিচ্ছেন। রাতটুকু অন্যত্র কাটিয়ে ফিরে আসছেন সকালে। তাই প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ পিকেটিং থাকা সত্ত্বেও যদি এই অবস্থা হয়, আগামী দিনে বগটুইবাসীকে আদৌ নিরাপদ বোধ করানো যাবে তো!
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -