সিউড়ি: ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Cyclone Remal) রেশ মিলিয়ে গিয়েছে। বেড়েছে তাপমাত্রাও। কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। তবে স্বস্তির খবর দিচ্ছেন আবহবিদরা। ফের ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বভাস তো আছেই। পাশাপাশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূমেও (Birbhum)। সপ্তাহান্তে শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতন বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে তাই আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নেওয়া প্রয়োজন বৈকি!


আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, শুক্রবার বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিনের তুলনায় যা বেশ কিছুটা কম। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। মোটের ওপর সারাদিনই আকাশ থাকবে মেঘলা। স্বস্তি পাবেন জেলার মানুষ।


বীরভূমের ভৌগলিক অবস্থান (Birbhum Geographical Location):  বীরভূম, বর্ধমান বিভাগের উত্তরতম জেলা। আকারে এই জেলা ত্রিকোণ, যার নিম্নস্থ বাহুটি তৈরি করেছে অজয় নদী (Ajay River)। বীরভূমের পশ্চিম ও উত্তর সীমান্ত বরাবর প্রসারিত ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)। পূর্বদিকে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। ভৌগোলিক বিচারে এই অঞ্চল ছোটনাগপুর মালভূমির উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। জেলাটির পশ্চিম দিকে প্রাকৃতিকভাবে পাথুরে গঠনে তৈরি হয়েছে মামা ভাগ্নে পাহাড় যা দুবরাজপুর (Dubrajpur) শহরের সন্নিকটে অবস্থিত।  বীরভূমের পশ্চিমাংশ অতীতে বজ্জভূমি বা বজ্রভূমি নামে পরিচিত ছিল। জেলার পূর্বাংশ অপেক্ষাকৃত উর্বরতর। বীরভূমকে বলা হয় রাঙামাটির দেশ। এই জেলার ভূসংস্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় কিছুটা আলাদা। জেলাটির পশ্চিমাঞ্চল ছোটনাগপুর মালভূমির (Chhotanagpur) অন্তর্গত ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ একটি এলাকা। এই অঞ্চলটি পশ্চিমদিক থেকে ক্রমশ ঢালু হয়ে নেমে এসে মিশেছে পূর্বদিকের পলিগঠিত উর্বর কৃষিজমিতে।


আপেক্ষিক জলবায়ু (Birbhum Climate): বীরভূম জেলার পশ্চিমাংশের জলবায়ু (Climate) শুষ্ক ও চরম প্রকৃতির। পূর্বাংশের জলবায়ু  তুলনামূলক মৃদু। গ্রীষ্মে (Summer) তাপমাত্রার পারদ ৪০º সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। শীতকালে (Winter) আবার  ১০º সেলসিয়াসের নিচেও নামে পারদ। সাধারণত, মার্চের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকে উষ্ণ আবহাওয়া। জুনের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ষাকাল এবং অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত শীতল আবহাওয়া থাকে। জেলার পশ্চিমাংশের বৃষ্টিপাত পূর্বাংশের তুলনায় অধিক। বর্ষায় রাজনগর ও নানুরে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের (Annual Rainfall) পরিমাণ যথাক্রমে ১৪০৫ মিলিমিটার ও ১২১২ মিলিমিটার।


সূর্যোদয় (Sunrise) -  সকাল ০৪.৫০


সূর্যাস্ত (Sunset) -  বিকেল ০৬.২৩


আরও পড়ুন: বেঙ্গল প্রো টি-২০ লিগ শুরু হচ্ছে কবে? ফাইনাল কোথায়? পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশিত


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।