তুহিন অধিকারী , বাঁকুড়া:  বিষ্ণুপুরে পড়াতে এসে চুরির অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ধাপে ধাপে প্রায় দেড়লক্ষ টাকা চুরির করার অভিযোগ তুলেছে ছাত্রীর পরিবার। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে বিষ্ণুপুর থানা পুলিশ।


কথায় বলে, চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড় ধরা। কিন্তু বাস্তবে শেষ রক্ষা হল না।চুরির অভিযোগে ধরা পড়ে গেলেন গৃহশিক্ষিকা।ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের শাঁখারিবাজারে।পুলিশ সূত্রে খবর, একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি নিয়ে বিষ্ণুপুরে আসেন পুরশুড়ার বাসিন্দা প্রার্থনা কোলে। ২ মাস আগে শাঁখারিবাজারের এক ছাত্রীর গৃহশিক্ষিকা নিযুক্ত হন।


ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ,দুপুরের দিকে  পড়াতে আসতেন প্রার্থনা।পড়াতে পড়াতে নানা অছিলায় ঘরের বাইরে পাঠাতেন ছাত্রীকে।সেই সুযোগে সরিয়ে নিতেন টাকা ও মূল্যবান জিনিস। 
পরিবারের দাবি, এইভাবে ধাপে ধাপে ১লক্ষ ৫২ হাজার টাকা, ও গয়না সরিয়েছেন গৃহশিক্ষিকা।


গৃহশিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। গৃহশিক্ষিকার বিরুদ্ধে এধরণের অভিযোগ বিশ্বাস করতে পারছে না তাঁর পরিবার।গৃহশিক্ষিকার কাকার কথায়, বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী তাঁর ভাইঝি এই ধরণের কাণ্ড করবে তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না। খবর পেয়েই তারা এখানে এসেছেন। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ধৃতের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা ও সোনার জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। 


এদিকে,অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটতে গিয়ে প্রতারনার স্বীকার হুগলির উত্তরপাড়ার এক প্রৌঢ়।নিমেষে গায়েব ৪,৮১,০০০ টাকা।চন্দননগর কমিশনারেটের সাইবার সেলের দারস্থ প্রৌঢ়।অভিযোগ জানালেন উত্তরপাড়া থানায়।


হুগলির উত্তরপাড়া বিবিএনসি সরণীর বাসিন্দা অবসর প্রাপ্ত বেসরকারী সংস্থার কর্মী অসীম কুমার ঘোষাল দিল্লি যাবার প্রয়োজন হওয়ায় বিমানের টিকিট কাটেন অনলাইনে।তাঁর বালিগঞ্জের বেসরকারী ব্যাঙ্কের সেভিংস এ্যাকাউন্ট থেকে টিকিটের টাকা কেটে নেওয়া হলেও ই-মেলে  টিকিট বা কোনো মেসেজ পাননি অসীম বাবু। যে সংস্থা থেকে টিকিট কেটেছিলেন গুগল সার্চ করে সেই সংস্থার কাস্টমার কেয়ারে ফোন করেন অসীম বাবু।  কিন্তু বিমানের টিকিট তিনি পাননি।কাস্টমার কেয়ার থেকে তাকে বলা হয় টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে,  তার জন্য তার নাম আর ফোন নম্বর দিতে হবে। নাম ফোন নম্বর বলতেই পাঁচ থেকে আট মিনিটের মধ্যে পাঁচ বারে মোট ৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা তুলে নেয় প্রতারকরা।অসীমবাবু বুঝে উঠতে পারেননি কি করে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরাতে পারল প্রতারকরা।এটিএম কার্ডের নম্বর বা কোনও ওটিপি তিনি দেননি ।এই ঘটনায় হতবাক প্রৌঢ় উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।