মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের ধুন্ধমার বেসরকারি হাসপাতালে। এবার ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের বিধাননগর। বুধবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে পেটে যন্ত্রণায় ভুগছিলেন ভিরিঙ্গি বাসিন্দা তেজা দেবী। এরপর তাঁকে এই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


হাসপাতালে ভর্তি হওয়ামাত্রই পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে বলে অভিযোগ। এতেও হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। আজ জধবার মৃত্যু হয় তেজা দেবীর। এতেই কার্যত ক্ষেপে ওঠে রোগীর পরিবার। তাঁদের দাবি, ঠিকমতো চিকিৎসা হয়নি রোগীর। সে কারণেই মৃত্যু হয়েছে। এদিন ঘটনায় হাসপাতালের সামনে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেন রোগীর আত্মীয়রা। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 


উল্লেতখ্য কিছুদিন আগে ভুল চিকিৎসায় এক রোগী মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় নদিয়ার হাঁসখালি থানার পায়রাডাঙ্গা গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম দিব্যেন্দু দাস। বয়স চল্লিশ। তিনি রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে অস্থায়ী কর্মী পদে নিযুক্ত ছিলেন। মৃত ব্যক্তির স্ত্রী রিম্পা দাসের অভিযোগ, গত ১৫ অগাস্ট রাত পৌনে নটা নাগাদ স্বামীর গলা ব্যথা করতে শুরু হয়। তখনই তাঁকে স্ক্রুটির পেছনে বসিয়ে পায়রাডাঙ্গায় স্থানীয় একটি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। সেইখানে নিয়ে যাওয়ার পর এক মহিলা চিকিৎসক তার স্বামীর শরীরে একটি ইনজেকশন দেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে যায়। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।


ভুল ইনজেকশনের কারণেই স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মৃতের স্ত্রী। হাঁসখালি থানায় ১৭ অগাস্ট বিকালে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। যদিও ওই মেডিকেল সেন্টারের মালিক অশোক মালাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, 'ওই ব্যক্তির একাধিক অসুখ ছিল। যেগুলো আমাদেরকে জানানো হয়নি। এছাড়া পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ওই এলাকার অনেক মানুষ এই প্রতিষ্ঠানটিকে কলুষিত করার জন্য মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন।'