রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন রাজ্যে এবার নীল-সাদা স্কুল ইউনিফর্ম (School Uniform) থাকবে। ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে সাদা জামা, নীল প্যান্ট। ছাত্রীদের জন্য থাকবে নীল-সাদা শালোয়ার কামিজ এবং নীল-সাদা শাড়ি। সব পোশাকের পকেটেই থাকবে বিশ্ব-বাংলা (Biswa Bangla) লোগো। এবার রাজ্য সরকারের পোশাক ফতোয়ার বিরোধিতা করে ফ্লেক্স পোস্টার পড়লো শহরের সমস্ত সরকারি স্কুলের বাইরে।
পোস্টারে বিতর্ক
সেই পোস্টারে লেখা রয়েছে, "রঙ আমার আবেগ, আমায় রঙ দিয়ে যায় চেনা"। এই পোস্টারই লাগালো প্রাক্তনীরা। পোশাক ফতোয়ার বিরোধিতায় প্রাক্তনী সম্মিলনী মঞ্চের ব্যানারে রীতিমত মিছিলও করে প্রাক্তনীরা। মিছিলের সামনে ফ্লেক্সে দাবি ছিল, সব স্কুলে এক রঙের ইউনিফর্ম, ঐতিহ্যনাশকারী এই সিদ্ধান্ত মানছি না। প্রাক্তনী মঞ্চের দাবি, প্রতিটি স্কুলের ঐতিহ্য আছে তার ওপর আঘাত করলে মানুষ বিরোধিতা করবে। এও জানান হয়, রং আমার আবেগ, আমায় রং দিয়ে যায় চেনা, এই দাবিতে শহরে মিছিল করেছি। আগামীতে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত প্রাক্তনীদের নিয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন, নবম দশম শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ফের সিবিআই তদন্ত, নির্দেশ বিচারপতির
রাজনৈতিক তরজা
পাশাপাশি এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপি তরজা। বিজেপির জেলা সভাপতি জানান, যারা আন্দোলন করছে তাদের পাশে আমরা আছি। স্কুলগুলোতে আগে শিক্ষক নিয়োগ করুন, মিড-ডে মিলের ভয়ানক পরিস্থিতি, কেন্দ্রের মিড-ডে মিলের টাকা লুঠ করছে তৃণমূল ক্যাডারেরা। উনি পোশাক পরিবর্তন করছে। পাগলের রাজ চলছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র জানান, এটার বিরোধিতা কতজন করছে তাদের পেছনে কারা আছে, তারা কি চান সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে, যারা বিরোধিতা করছে তারা বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছে। এই সিদ্ধান্ত পুরোটাই শিক্ষা দফতরের, মুখ্যমন্ত্রী জানেন কখন কী করা উচিত।
জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, এটা পুরোপুরি সরকারি সিদ্ধান্ত। তবে এই বিষয়ে আমার কাছে বা ডিয়াই এর কাছেও কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পরেনি। স্কুলের ড্রেস তৈরির প্রথম পর্যায়ের কাপড় আসছে আগামী সপ্তাহেই। আসছে তন্তুজের ১ লাখ মিটার কাপড়। এরপর ধাপে ধাপে আরও কাপড় আসবে। উল্লেখ্য, বুধবারই জেলার পুরসভাগুলির চেয়ারম্যান, ভাইসচেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা।