কলকাতা সনৎ ঝা, করুণাময় সিংহ ও চঞ্চল মজুমদার: মুকুল রায় দল ছাড়ার পরপরই দক্ষিণবঙ্গের আরও দুই বিধায়ক ছেড়েছেন গেরুয়া শিবির। সপ্তাহের প্রথম দু’দিনে পরপর বিজেপি শিবির থেকে, তৃণমূলে ফিরে এসেছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এবার কি একই পথে হাঁটতে চলেছেন উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের একাংশও? তেমনটাই জল্পনা তৈরি হল বুধবার বিজেপির উত্তরবঙ্গের সম্মেলনের পর। উত্তরবঙ্গের বিজেপির দলীয় সম্মেলনে গেলেন না পাঁচ বিধায়ক !!
উত্তরবঙ্গে বিজেপির সম্মেলনে বুধবার হাজির ছিলেন না ৫ বিধায়ক। তাঁরা হলেন -
- বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি
- গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন রায়
- মালদার হবিবপুরের বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু
- মালদার বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহা
- আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওরাঁও
আরও পড়ুন : ‘যেকোনও দিন ঘোষণা হতে পারে ভোটের দিন, তৈরি থাকুন’, রাজ্যকে ভোটের জন্য তৈরি থাকতে বলল কমিশন
দলীয় বৈঠকে এই পাঁচ বিজেপি বিধায়কের গরহাজিরা ঘিরে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে কি এরাও বেসুরো ? যদিও গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে সেই আশঙ্কা ওড়ানোই হয়েছে। বলা হয়েছে, বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি দিল্লিতে রয়েছেন,। তাই তিনি আসতে পারেননি।
অন্যদিকে, স্ত্রী অসুস্থ বলেই আসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন আরেক বিধায়ক। দলবদলের জল্পনা খারিজ করে গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক দাবি করেন,, 'যেখানে ছিলাম, সেখানেই আছি’। অন্যদিকে, অসুস্থ বলে যেতে পারিনি বলে দাবি করেন মালদার বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহা।
দলের ঐক্যবদ্ধ চেহারা তুলে ধরতে বুধবার কলকাতায় একাধিক জেলার দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে করে সাংবাদিক বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের নিয়ে শিলিগুড়িতে বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপি-র সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, তাহলে কি ঘর বাঁচাতেই বিজেপির এই তৎপরতা?
২০১১ সাল থেকে রাজ্যজুড়ে দলবদল প্রবল আকার নিতে শুরু করে। এখনও তা চলছে! আর সেইসঙ্গে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে কে নীতি - নৈতিকতায় বিশ্বাসী...তা নিয়েও তাল ঠোকাঠুকি অব্যাহত।