মেদিনীপুর: ফের দেউচা পাঁচামির (deucha pachami) কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)। খড়্গপুরের (kharagpur) অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) অভিযোগ, 'দেউচা পাঁচামিতে রোজ বিজেপি-সিপিএমের (BJP CPM) লোকেরা গন্ডগোল পাকাচ্ছে। রাজনীতি করা যাবে না, তাই বাধা দেওয়া হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, দেউচা পাঁচামি কয়লা প্রকল্প নিয়ে বিস্তর অশান্তির সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকায় যাঁরা জমি দিতে ইচ্ছুক, তাঁদের পরিবারের একজন সরকারি চাকরি পাবে। গত জুলাইয়ে হরিণশিঙা দেওয়ানগঞ্জ প্রথম প্রজেক্ট এলাকার কেন্দ্রগড়িয়া গ্রামে কতফুট নিচে কোথায় কয়লা রয়েছে তা দেখার জন্য বোরিং শুরু হয়। তার পর এদিনের অভিযোগ তৃণমূলনেত্রীর (TMC Supremo)।
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
এদিন খড়গপুরে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের আওতায় যাঁরা কারিগরি শিক্ষার কোর্সে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। পরে সেখানেই দেউচা-পাঁচামি নিয়ে ফের অভিযোগ শোনা যায় তাঁর মুখে।তবে এতেই থামেননি তিনি। সঙ্গে সংযোজন, ’বাংলায় ৩টি জায়গায় বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে। কোচবিহার, বালুরঘাট, মালদায় জমি তৈরি আছে। কেন্দ্র অনুমতিই দিচ্ছে না।’
ফিরে দেখা...
আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে শিল্প করা যাবে না। বীরভূমের দেউচা-পাঁচামিতে মিছিল করে গত মে মাসে সুর চড়িয়েছিল বিজেপি। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চক্রান্ত, পাল্টা অভিযোগ শানায় তৃণমূল। বস্তুত, দেউচা-পাঁচামি কয়লা প্রকল্প নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই সমস্যার খবর শোনা যাচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে, দেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকায় জমিদাতাদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেবে রাজ্য সরকার। চাকরি মিলবে কনস্টেবল পদে। তার জন্য সরকার ৫১০০ পদ তৈরি করেছে। এই চাকরির প্রস্তাব আসতেই, জমিদাতাদের উৎসাহ বাড়ে। অনেক তরুণ-তরুণী চাকরির আশায় জমি দান করেছেন, শোনা যায় স্থানীয় সূত্রে। জুলাইয়ের শুরুতেই সিউড়ির ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চাকরির এই নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায় সহ অন্যান্য জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সকল জমিদাতাদের চাকরির নিয়োগের বিষয়ে আগেই ঘোষণা করেছিলেন। সেইমতো তাদের শারীরিক প্রশিক্ষণ সহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ শুরু হয়। সেই সকল প্রশিক্ষণ শেষে অবশেষে শুক্রবার প্রায় ৩০০ জনের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের চূড়ান্ত নিয়োগপত্র তুলে দেয় বীরভূম জেলা প্রশাসন। তার পর বোরিংয়ের কাজও শুরু হয়।
আরও পড়ুন:"উনি কি আজকাল বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়ান? গুলি করার কথা বলেন কিভাবে"? অভিষেককে তোপ দিলীপের